কাঁচা পাতার ন্যায্য মূল্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলনে নামলেন ছোট চা বাগানের মালিকেরা। শুক্রবার ইসলামপুরের কলতাহারে জাতীয় সড়কের উপরে কাঁচা পাতা ফেলে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্মল টি গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। শিলিগুড়িতেও মহকুমাশাসকের এদিন নর্থ বেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের শতাধিক সদস্য। উত্তরবঙ্গ জুড়ে কয়েক হাজার ছোট চাষি রয়েছেন। কাঁচা পাতা তুলে বিক্রি করে অনেকের সংসার চলে। মাঝারি বাগানের শ্রমিকেরাও নির্ভরশীল কাঁচা পাতা বিক্রির উপরেই। তাঁদের অভিযোগ, কাঁচা পাতা উৎপাদনের খরচ ক্রমশ বাড়লেও চা কারখানার মালিকেরা ক্রমশ কাঁচা পাতার দাম নামিয়ে দিচ্ছেন। ২-৩ টাকা প্রতি কেজি কাঁচা পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে ওই দামে কাঁচা পাতা বিক্রি করতে হলে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়বে। |
প্রশাসন এবং চা পর্ষদ দ্রুত ব্যবস্থা না-নিলে লাগাতার আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” উত্তরবঙ্গ চা পর্ষদের ডেপুটি ডিরেক্টর কে কে ভট্টাচার্য বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে।” ইসলামপুরে কলতাহার কালীবাড়ির সামনে এ দিন বিক্ষোভে সামিল হন জেলার স্মল টি গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ওই সদস্যরা। ঘটনার জেরে প্রায় ১ ঘন্টা জতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা না মিটলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত চা বাগান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। উত্তর দিনাজপুর স্মল টি গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবাশিস পাল বলেন, “বর্তমানে কাঁচা চা পাতার বাজার উৎপাদন মূল্য ১০ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ ২ টাকা কিলোগ্রাম দরে পাতা বিক্রি করতে হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনে নামব।” নর্থ বেঙ্গল স্মল টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অলক ঘোষ বলেন, “বটলিফ কারখানাগুলি জোট বেঁধে কাঁচা পাতার দাম নামিয়ে রেখেছে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় ছিল না। দাবি না-মিটলে বড় আন্দোলন হবে।” |