উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের শাস্তির দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন রায়গঞ্জ পুরসভার কংগ্রেসের কাউন্সিলরেরা। শুক্রবার দুপুরে ১৭ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরের সামনে বুকে পোস্টার সেঁটে এক ঘন্টা বিক্ষোভ দেখান। তাতে বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান মোহিত সেনগুপ্তকে অসম্মান করার অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারকে ধিক্কার জানানোর কথা লেখা ছিল। বিক্ষোভের পাশাপাশি প্রায় আধঘন্টা জেলাশাসককে ঘেরাও করে স্মারকলিপি জমা দেন ওই কাউন্সিলরেরা। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা রায়গঞ্জ টাউন কংগ্রেস সভাপতি রণজকুমার দাস বলেন, “আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মোহিতবাবু সরব হওয়ায় পুলিশ সুপার প্রকাশ্যে তাঁকে অপমান করেছেন। মোহিতবাবু পুর চেয়ারম্যান। তাই আমরা এই ঘটনা মেনে নিতে পারছি না। জেলাশাসকের কাছে পুলিশ সুপারের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং উত্তরবঙ্গের আইজি’র কাছে অভিযোগ জানাব।” |
জেলাশাসক পাশাং নরবু ভুটিয়া অবশ্য বলেন, “পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার এক্তিয়ার আমার নেই। কাউন্সিলরদের অভিযোগ উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যে একই দাবিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব সমর ঘোষকেও অভিযোগপত্র পাঠিয়েছে কংগ্রেস। তবে পুলিশ সুপারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশ সুপারের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গণস্বাক্ষর স্মারকলিপি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও তৃণমূলই এসবের পিছনে রয়েছে বলে কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি পুজোয় শহরের আইন শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে একটি অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপারকে তুলোধনা করেন পুর চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মোহিতবাবু তুলোধনা করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে দু’জনের বচসা হয়। এর পরে বিধায়ককে অপমান করা হয়েছে অভিযোগে আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। যদিও বিধায়ক প্রকাশ্যে তা না করলেই পারতেন বলে জানিয়ে পুলিশ সুপারের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। পুলিশ সুপার এদিন বলেন, “আইন মেনেই আমি কাজ করছি। কাউকে অপমান বা অসম্মান করিনি। এতটুকু বলতে পারি, রাজনৈতিক চাপ এবং চক্রান্তের শিকার হয়েছি।”
এরমধ্যে আজ, শনিবার পুলিশ সুপারকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের দাবি, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে ডিজি পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি।” যদিও পুলিশ সুপারের পাল্টা দাবি, “রাবার বুলেট এবং জল কামান নিয়ে আলোচনার জন্য ডিজি ডেকেছেন। অন্য কোনও কারণ নেই।” |