|
|
|
|
|
টেবিলে যেন খুঁত না থাকে |
বাড়িতে তো থাকি যেমন তেমন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টেবিল জুড়ে আড্ডা, হাতের কাছের প্লেটটায়
টান মেরেই খাওয়া শুরু, ন্যাপকিন বা চামচ পড়ে গেলে হামাগুড়ি দিয়ে টেবিলের তলায়...।
কিন্তু সামাজিক অনুষ্ঠানে কিছু নিয়মকানুন তো মানতেই হবে, তাই না? |
অফিসে দুপুরের খাওয়ার সময় নির্দিষ্ট থাকে। ওই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যেককে লাঞ্চ শেষ করতে হয়। তাই অফিস ক্যান্টিনের মাইক্রোওয়েভে লাঞ্চ বক্স ঢুকিয়ে অন্য দিকে চলে যাবেন না, বা আপনার লাঞ্চ শেষ হওয়ার পরও টেবিল আটকে আড্ডা দেবেন না। এতে আপনার সহকর্মীদের খাওয়ার দেরি হয়ে যেতে পারে। খাওয়ার পর ব্যবহার করা প্লেট, গ্লাস, চামচ, পেপার ন্যাপকিন নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেবেন। ব্যস্ত সময়ে নোংরা টেবিল পরিষ্কার করতেও অনেকটা সময় লাগে। তাই কিছুটা পরিষ্কার আপনিই করে রাখুন না!
কোনও বাচ্চার জন্মদিনে গেলে নিজের বাচ্চার দিকে অতিরিক্ত নজর দিতে গিয়ে আমরা অনেক সময় অন্যদের কথা ভুলেই যাই। বাচ্চা বায়না করছে। তাই আপনি ছোঁ মেরে কেকের স্ট্রবেরি দেওয়া অংশটা বা সবচেয়ে বড় মাংসের টুকরোটা তার প্লেটে তুলে দেবেন না। এতে কিন্তু ও স্বার্থপর হতে শিখবে। বরং ওকে বোঝান যে, আগে ও যেন অন্য খুদেদের অফার করে। কেউ না নিলে সঙ্গে সঙ্গে মুখে চালান করা তো যেতেই পারে! |
|
আপনার বাড়ির পাশেই একটা খুদে বাগান আছে। সেখানে একটা বার-বি-কিউ-এর আয়োজন করতে চাইলেন। মেনু তো নিজের পছন্দ মতো ঠিক করবেন। বাকি কী কী জিনিস মনে রাখবেন বলুন তো? প্রথমেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে ফেলুন। এতে শেফ ও গেস্টদের সুবিধে হবে। গরম কাল হলে আইস টি, আইস কফি বা সফ্ট ড্রিঙ্কসের ব্যবস্থা রাখবেন। খাবার পরিবেশনের সময় সাইড টেবিলে যেন প্রচুর পরিমাণে সস্ মজুত থাকে।
কোনও রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে হাত থেকে ন্যাপকিনটা মেঝেতে ফেলে দিয়েছেন? সামনেই পড়ে গেলে টুক করে তুলে নিন। কিন্তু টেবিলের অনেকটা ভেতরে ঢুকে গেলে হামাগুড়ি দিয়ে টেবিলের তলায় ঢুকবেন না। ওয়েটারকে ডেকে বরং অন্য একটা চেয়ে নিন।
কোনও গোল টেবিলে পর পর অনেক প্লেট আর গ্লাস সাজানো থাকলে নিজেরটা খুঁজে না পাওয়া কোনও নতুন ঘটনা নয়। সব সময় মনে রাখবেন, আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, তার বাঁ দিকের প্লেটটা আর ডান দিকের গ্লাসটা আপনার। এটা মনে রাখলেই
অন্যের প্লেট বা গ্লাস ধরে টান দেওয়ার আর ভয় থাকবে না। |
|
খেতে গিয়ে প্লেটের পাশে অনেক রকম কাঁটা আর চামচ সাজানো দেখে ঘাবড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কোনটার কী ব্যবহার, সেটা বোঝা কিন্তু খুব সহজ। একেবারে বাইরের দিকে যেটা আছে, সেটার ব্যবহার প্রথমেই হবে। যদি স্যালাড দিয়ে খাওয়া শুরু হয়, তা হলে অবশ্যই ওটা স্যালাডের জন্য। অন্য স্টার্টার থাকলে ওই কাঁটা বা চামচটা সেটার জন্য। আর একেবারে প্লেটের পাশেরটার ব্যবহার সব শেষের পদের জন্য। সাধারণত এটা ডিজার্টের জন্য রাখা থাকে।
খাওয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর দেখলেন আপনার সাধের লিপস্টিক একেবারে মুছে গেছে। অনেকে টেবিলে বসেই হাত-আয়না দেখে নতুন করে লিপস্টিকটা লাগিয়ে নেন। চেষ্টা করবেন এটা না করতে। প্রয়োজন হলে অন্য অভ্যাগতদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে কোনও রেস্ট রুম বা টয়লেটে গিয়ে প্রসাধন সেরে নিন। |
|
খেতে খেতে অনেক সময়ই মুখে ছোট হাড়ের টুকরো বা মাছের কাঁটা চলে যায়। এ ক্ষেত্রে চামচ বা কাঁটাটি মুখের সামনে এনে আলতো করে মুখ থেকে অবাঞ্ছিত পদার্থটি বের করে দিন। এ বার টুকরোটি ওয়েস্ট প্লেটে ফেলে দিতে পারেন। কখনও সরাসরি মুখ থেকে থুঃ করে প্লেটে ছুড়বেন না। এতে অন্যান্য অতিথিরা অসন্তুষ্ট হতে পারেন।
রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে খাওয়ার পর প্লেট বা গ্লাস সামনের দিকে ঠেলে দেবেন না। যেখানে ওটা ছিল, সেখানে রেখে দিন। ওয়েটার ঠিক সময় মতো তুলে নেবেন। |
|
|
|
|
|