|
|
|
|
|
দীপাবলির ফ্যাশন |
বাঙালি সাজ তো হল অনেক। দীপাবলিতে হবে না কি অবাঙালি
পোশাক? চনিয়া চোলি, সিল্ক লহেঙ্গা, মোজরি। চিরশ্রী মজুমদার |
বাঙালিরা দুর্গাপুজোয় সকাল-বিকেল সাজ বদলিয়ে হা-ক্লান্ত হয়ে যায় বটে, কিন্তু সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে আসল উৎসব হল দিওয়ালি। আর তাতে আপাদমস্তক ধূপ-ধুনো-ধোঁয়া ভরা পুজো পুজো গন্ধ। এইখানে কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজো আর বাংলার গণ্ডি টপকালেই সর্বত্র ধনলক্ষ্মীর আরাধনা। তাই সেই দিনটার জন্য কয়েকটা প্রাচ্য পোশাকের খোঁজখবর জেনে রাখুন। শুধু সালোয়ার স্যুটেই ভরসা করলে চলবে না। কলিদার, আনারকলি বা আংরাখা কাটের স্যুট গয়নাগাটি দিয়ে পরলে খুউব উজ্জ্বল দেখাবে। আলোর উৎসবে মানাবেও ভাল, কিন্তু বয়স এবং চেহারা পাশে থাকলেই, লেহেঙ্গা পরুন। সিল্কের লেহেঙ্গা পরলে আপনি ফিরে যাবেন ইতিহাসের মধ্যযুগে। |
|
মানে জোধাবাই, পদ্মিনী, সংযুক্তা। সাধারণত সিল্কের লেহেঙ্গায় ভারী জারদৌসি কাজ বা দামি পাথর বসানো থাকে। কখনও কখনও শামুক-ঝিনুক, ছোট্ট ছোট্ট ঘষা কাচ, বা প্রাচীন আমলের পয়সা আকৃতির ধাতু-চাকতিও বসানো হয়। তাই এগুলো ওজনে একটু ভারী। সে দিক থেকে ক্রেপ বা জর্জেটের লেহেঙ্গার সুবিধা হল, ওজনে হালকা, পুজোর বাড়িতে ছোটাছুটির পরেও সাজ নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে না।
তবে লেহেঙ্গা-চোলির সব থেকে আকর্ষণীয় অংশ হল চোলির ডিজাইন। হেমলাইন, নেকলাইন বা পিঠের অংশটার নকশা কায়দার হতেই হবে। যেমন, প্রিন্সেস বা এম্পায়ার কাট। এতে বাস্টলাইনের সৌকর্যের দিকেই নজরটা আগে যায়, কোমরের দিকটা ঈষৎ ভারী হলেও সমস্যা হয় না। আরও একটু মেদ জমলেও ক্ষতি নেই। চোলির বদলে একটা করসেট পরে নিন। চেপে বসবে শরীরে, মেদ বোঝাই যাবে না আর কোমর অংশটাও দেখা যাবে না। উন্মুক্ত থাক গ্রীবা আর ওপর-হাতে পরে নিন একটা জমপেশ বাজুবন্ধ। ছিমছাম, সর্পিল, সোনার। আশ্রমবালিকার মতো দেখাবে। |
|
কিংবা লেহেঙ্গাটা ফিশ-কাট করিয়ে নিন। এ বার মৎস্যকন্যা! লেহেঙ্গা-স্যুটের ফিউশন, লেহেঙ্গা-শাড়ি, গাউন-লেহেঙ্গা, এই ধরনের পোশাকও পরা যায়। একই পোশাকে অনেক চরিত্র। পাথর বসানো, সিক্যুইন কাজের প্রায় লেহেঙ্গাসদৃশ স্কার্টও কয়েক দশক ধরেই ‘ইন’। সঙ্গে চোলি কাটের ব্যাকলেস টপ পরবেন। পায়ে পাথরচটি বা মোজরি। আর যদি সেই শাড়িই পরতে চান, প্লিটহীন রেডিমেড শাড়িগুলো পরুন। একরঙা, তাতে ঘন হয়ে পাথর ও জালি কাজ।
শ্রীরাধিকে সাজতে চান? মানে সেই বাঁধনিকাজের, আয়নাকুচি বসানো ঘাগরা আর একটু ছোট ঝুলের চোলি? ওই রকম একটা মেঠো পোশাকের জন্যই ভারতীয় পোশাকশিল্পীদের ব্যতিব্যস্ত করে ছাড়েন। ওটাই যে ‘চনিয়া চোলি’, এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নক্ষত্র।
যাহ্, সংযুক্তার সংবাদে পৃথ্বীরাজ যে একেবারে কোণঠাসা হয়ে গেলেন দেখছি! না না, পুরুষ ফ্যাশন কম পড়ে নাই মোটে। দিওয়ালি মানেই শেরওয়ানি বা আচকান নয়, এ বার পাঠানি কিনুন। একটু ভি-কাট তো, তাই এই পোশাক পরলে চেহারা নির্মেদ হওয়াও খুব জরুরি। চাইনিজ কলার, নেহরু গলা, বন্ধগলা ইত্যাদি দেখে লম্বা ঝুলের কুর্তা বাছুন, পরলেই সবার চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, প্রাচ্য বেশ না কি পাশ্চাত্য? আলিগড়ি পায়জামা ছাড়াও মিডিইভল প্যান্টস নামের একটি পোশাকের খোঁজ করতে পারেন। একটু ঢিলে জোধপুর প্যান্টস-এর ওপর কোমরবন্ধ আঁটা। নবাবি চালও তো আজকাল ডিজাইনার স্টোরে গেলেই মিলে যায়, ফ্যাশনসাম্রাজ্যের এমনি এলেম! |
|
|
|
|
|