এডস সচেতনতায় নানা কর্মসূচি দাসপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
বিস্কুট থেকে সাবান, শাড়ি থেকে জুতো। পুজো প্যান্ডেলের চারি দিকেই নানা আকর্ষণীয় জিনিসের বিজ্ঞাপন। তারই ফাঁকে চোখ আটকাবে এডস সচেতনতার প্রচারে। এই ছবি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকার। দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজোতেও মণ্ডপে মণ্ডপে এডস সচেতনতায় প্রচার দেখা গিয়েছে।
এডস সচেতনতায় কেন্দ্র-রাজ্যের যৌথ উদোগে প্রতি বছর বহু টাকা ব্যয় হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। তা সত্ত্বেও জেলার দাসপুরে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই পরিস্থিতিতে উৎসবের আঙিনাকেই সচেতনতা প্রচারে ব্যবহার করছে প্রশাসন।
দাসপুর ১ ও ২ ব্লককে ইতিমধ্যেই ‘হাই-রিস্ক জোন’ বলে ঘোষণা করেছে সরকার। এই রোগ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মাঝেমধ্যেই নানা কর্মসূচি নেয় স্বাস্থ্য দফতর। বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগেও হয় সচেতনতা শিবির। |
লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপে সচেতনতার প্রচার সোনামুইয়ে। নিজস্ব চিত্র। |
কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু দাসপুরে এইচআইভি বাহকের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। শীঘ্রই ওই এলাকায় সচেতনতা শিবির-সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।” দাসপুর ১ ও ২ ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতিও এ কাজে এগিয়ে এসেছে। দুর্গাপুজোর সময় থেকেই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ, মেলা প্রাঙ্গণে ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো হচ্ছে। এডস সচেতনতার বার্তা নিয়ে হচ্ছে নাটক, গান। এ কাজে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও যুক্ত করা হয়েছে। দাসপুর ২-এর বিডিও মোদ্দাসার মোল্লা বলেন, “ব্লক জুড়ে সরকারি ভাবে এইচআইভি আক্রান্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। দু’শো জনের নাম পেয়েছি। সবাইকে ২ টাকা কেজি দরে চাল ও পোশাক দেওয়া হবে।” পাশপাশি চলবে প্রচারের কর্মসূচি। ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারীর মতে, “দাসপুরে যে ভাবে এই রোগ ছড়াচ্ছে,তা আটকাতেই এই উদ্যোগ। দুর্গাপুজোর পরে লক্ষ্মীপুজোতেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”
কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাকো (ন্যাশানাল এডস কনট্রোল অর্গানাইজেশন) দীর্ঘদিন ধরে এই সচেতনতা প্রচারে যুক্ত। ন্যাকোর নোডাল অফিসার প্রলয় আচার্য বলেন, “আমরা সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় এই রোগের পরীক্ষা-সহ চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধিতেও নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।” |