নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি
তৃণমূলে যোগ দেবেন ৪ কংগ্রেস সদস্য
ব্লক কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি-সহ পঞ্চায়েত সমিতির ৪ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানানোয় ক্ষমতার সমীকরণে ‘পরিবর্তন’ আসন্ন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে।
১৮ আসনের ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। তবে এত দিন পর্যন্ত সেখানে কংগ্রেসের ৯ এবং তৃণমূলের ৩ জন ছিলেন। রয়েছেন বামেদের ৩ এবং ৩ নির্দল সদস্য। শুক্রবার দুপুরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরোজা তামাং, ব্লক কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অমর সিংহ-সহ মোট ৪ পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে নকশালবাড়ির জয়েন্ট বিডিও জিতেন্দ্র তামাংয়ের হাতে একটি চিঠি তুলে দেন। অমরবাবুদের দাবি, তাঁদের নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নির্দল সদস্য। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেসের তুলনায় পাল্লা ভারী হওয়ার কথা তৃণমূলের। তবে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “নকশালবাড়িতে কী হয়েছে বিশদে খোঁজ নিচ্ছি।”
মহকুমাশাসক (শিলিগুড়ি) সৌরভ পাহাড়ি বলেন, “এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে আমার হাতে নকশালবাড়ি থেকে এখনও এ ধরনের কোনও রিপোর্ট আসেনি। তেমন রিপোর্ট পেলে আইনি দিক খতিয়ে দেখা হবে।”
অমরবাবু এ দিন বলেন, “কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। জেলা কংগ্রেসের একটি অংশ উন্নয়নের কাজে নানা ভাবে বাধা সৃষ্টি করছিল। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” তবে বহু চেষ্টা করেও এ দিন সরোজা তামাং, এবং দলত্যাগ করতে চাওয়া অন্য দু’জন--মংলি ওঁরাও এবং নৃপেন্দ্রনাথ বর্মনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পক্ষান্তরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, “সব দলেই কিছু সুবিধাবাদী লোক থাকেন। তাঁরা যখন যেখানে সুবিধে, সে দিকে চলে যান। এই ঘটনায় নকশালবাড়িতে কংগ্রেস এতটুকু দুর্বল হবে না।”
জেলা কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রে কংগ্রেসের হয়ে টিকিটের দাবিদার ছিলেন অমরবাবু। কিন্তু প্রদেশ নেতৃত্ব শঙ্করবাবুকে টিকিট দেন। দুই নেতার মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ চরমে ওঠে শঙ্করবাবু জেতার পরে। অমরবাবুর বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে অমরবাবু বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই অমরবাবু দলবল নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল এবং দলের নকশালবাড়ি অঞ্চল কমিটির সভাপতি তপন কুণ্ডু উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্থির হয়, অমরবাবুরা রবিবার, ১৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেবেন। সেই খবর পেয়ে জেলা কংগ্রেস নেতারা রাতেই নকশালবাড়ি ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে অমরবাবুর ক্ষোভ, “ব্লক কমিটি ভাঙার আগে কোনও আলোচনাই হয়নি।”
জয়েন্ট বিডিও-র কাছে দলত্যাগের চিঠি দেওয়ার পরে এ দিন দলবদল প্রসঙ্গেই স্থানীয় মণিরাম, নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অমরবাবুরা। সেখানে মণিরাম অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সুনীল শৈব্য, নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ কংগ্রেসের সুনীল ঘোষের সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদ বাধে। তবে প্রশাসনিক নজরদারিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.