|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
নাট্য-নাটক মার্জারী সংবাদ |
বইপোকা |
দিবানিদ্রাটি সবে জমিতেছিল, মার্জারীর সেই চিরনূতন ‘ফ্যাঁচ’ হাসিতে ভাঙিয়া গেল। কিঞ্চিৎ বিরক্ত হইলাম, বলিলাম, ‘হাসিতেছ কেন মার্জারী, ইহা কি নাট্যশালা?’ মার্জারী দ্বিগুণ হাসিয়া উত্তর দিল, ‘তোমাদিগের বাপু নাটক নাই, নাট্য আছে।’ বুঝিলাম, মার্জারী সম্প্রতি বিনা টিকিটে শম্ভু মিত্রের জীবন-নাট্য দেখিয়া আসিয়াছে। মিত্র মহাশয় ‘নাটক’ আর ‘নাট্য’ শব্দদুইটিকে পৃথক মর্যাদা দিয়াছিলেন, প্রথমটিতে পাঠ্য নাটক এবং দ্বিতীয়টিতে নাট্যাভিনয় বুঝাইয়া। কিন্তু আমাদিগের নাটক নাই কেন? মার্জারী বলিল, ‘অবহেলার্থে নাই শব্দ প্রযুক্ত। বাংলা নাট্য এক্ষণে অনেক দূর আগাইয়াছে, কিন্তু বইপাড়ায় নাটক-গ্রন্থগুলির দশা দেখ, লজ্জিত হইবে। অথচ একদা গিরিশচন্দ্র ঘোষ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় প্রমুখের নাটকসকল যত্ন-সহকারে প্রকাশিত হইত, কাটিতও প্রচুর।’ মার্জারী ভাবাইল। সত্যই, সমগ্রের ঠাসাঠাসি কিংবা পরীক্ষা-বৈতরণী পারার্থ ছাত্রবন্ধু সংস্করণ বাদ দিলে বাংলা সাহিত্যের কয়টি নাটক বঙ্গীয় বইপাড়ায় এখন সযত্ন-প্রকাশ? গুণিতে দুই করও লাগিবে না। অথচ এই শহরেই যখন অন্য ভারতীয় ভাষার নাটক ইংরাজি অনুবাদে প্রকাশিত হয়, তাহার মান আন্তর্জাতিক প্রকাশনাকেও ছুঁইয়া যায়। ইহার কারণ সেই অকাট্য যুক্তিবৃত্তে নাটক-গ্রন্থের কাটতি নাই বলিয়া এই অযত্ন না অযত্নের কারণেই কাটতি নাই? বারান্তরে এই জট ছাড়াইতে প্রয়াসী হইব, আপাতত দিবানিদ্রায় মন দিই। |
|
|
|
|
|