গুজব ঠেকাতে বৈঠক পুরুলিয়ায় |
দুষ্কৃতী দলের হানাদারির ‘গুজবে’ আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরুলিয়া শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকায়। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শহরে পুলিশের টহল থাকা সত্ত্বেও বাসিন্দারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজেরাও রাত পাহারা দিচ্ছেন। এই গুজব যাতে অহেতুক বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে শুক্রবার যৌথ বৈঠক করেন পুলিশ-কর্তা এবং পুরসভার প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (সদর) অংশুমান সাহা, পুরুলিয়া সদর থানার ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার পুরপ্রধান তারকেশ চট্টোপাধ্যায় এবং শহরের কাউন্সিলরেরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুলিশ যেমন রাতে শহরে টহলদারি চালাবে, তেমনই কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখলে সাধারণ মানুষ যেন আইন হাতে না তুলে নিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুরপ্রধান বলেন, “আমরা ওয়ার্ড কমিটিগুলির মাধ্যমে প্রচার করব, কোনও রকম গুজবে কেউ যেন কান না দেন। প্রয়োজনে আমাদের বা পুলিশকে জানাতে।” এই সিদ্ধান্তের অবশ্য কারণও আছে। বৃহস্পতিবার রাতেই শহরের দু’জায়গায় দু’জন এলাকাবাসীর হাতে আক্রান্ত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাঁদের মধ্যে পবনসিংহ সর্দারের বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার সুরুলিয়া গ্রামে। সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় নামে প্রহৃত অন্য জন সদর থানার দুলমির বাসিন্দা। শহরের তেলকলপাড়া ও চিড়াবাড়ি এলাকায় ওই দু’জনকে দুষ্কৃতী সন্দেহে পিটুনি দেয় জনতা। আহত অবস্থায় তাঁদের পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’টি ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
|
মজুরি বৃদ্ধির দাবি শ্রমিকদের |
বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবিতে চার বামপন্থী দলের শ্রমিক সংগঠনের ডাকে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালিত হয় পুরুলিয়ার চারটি থানা এলাকায়। কোটশিলা, জয়পুর, আড়শা ও ঝালদা থানা এলাকায় এই বন্ধের ডাক দিয়েছিল সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই এবং আরএসপি-র শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ কমিটি। কমিটির তরফে জয়পুরের ফব বিধায়ক ধীরেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “জেলায় প্রায় এক লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা এক হাজার বিড়ি বাঁধলে মজুরি পান ৫৩ টাকা। কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে এই মজুরি যথেষ্ট নয়। আমরা মজুরি বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০০ টাকা করার দাবিতে বন্ধের ডাক দিয়েছি।” তাঁর অভিযোগ, এর আগে প্রশাসনের কাছে মজুরি বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের পেনশন দেওয়ার দাবি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শ্রম দফতরের পুরুলিয়া পশ্চিম বিভাগের সহকারী কমিশনার সবুজ ঢালি জানান, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে জেলা প্রশাসন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকবে। সেখানেই আলোচনা করে বিষয়গুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
|
ইন্দিরা আবাস যোজনা পাওয়ার জন্য তফশিলি জাতি, উপজাতিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি উঠল। মোট ১৮ দফা দাবিতে বাঁকুড়ার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল অল ইন্ডিয়া কনফেডারেশন অব এসসি-এসটি অর্গানাইজেশন। শুক্রবার সংগঠনের ৫০০ জন কর্মী তাঁদের সম্প্রদায়ের তীর, বর্ষা, তীর-ধনুক নিয়ে স্লোগান দিয়ে শহরে মিছিল করে। ছৌ নাচের দলও তাঁদের সঙ্গে ছিল। সংগঠনের সভাপতি কলু বাউরি’র দাবি, “তফশিলি জাতি-উপজাতির মানুষরা নানাভাবে বঞ্চিত। তাঁদের উন্নয়নের দাবিগুলি পূরণ করতে হবে।” জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি বলেন, “তাঁদের দাবিগুলি বিবেচনা করা হবে।”
|
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক বধূর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত সীমা দে (৩২) বাঁকুড়া সগর থানার কদমাঘাটি এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, সীমাদেবী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে চার জনের পরিবার। বুধবার দুপুরে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সীমাদেবীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু-মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
|
বধূকে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হলেন আজাদ আনসারি, সামসুদ্দিন আনসারি ও বতুলন বিবি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করে শুক্রবার রঘুনাথপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেলা হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রের খবর, তিন বছর আগে কাশীপুর থানার আমলাবহাল গ্রামের বাসিন্দা আজাদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হুড়া থানার শামুকবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলাল আনসারির মেয়ে সাজিমান বিবির (২২)। বৃহস্পবিতার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির কাছেই একটি গাছে সাজিমানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বেলাল আনসারি কাশীপুর থানায় তাঁর মেয়ের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করে ধৃতদের দাবি, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে সাজিমান। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ওই বধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। |