ফের সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে আস্থা ভোট |
তৃণমূল ও কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সিউড়ি ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে সহ-সভাপতির বদল ঘটল শুক্রবার। গত তিন বছরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতি বদল হয়েছে তিন বার। শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ-সভাপতি কংগ্রেসের রেখা রায় অপসারিত হন।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১৭ জন সদস্যের মধ্যে কংগ্রেসের ৮, তৃণমলের ৫ ও সিপিএমের ৪ জন সদস্য আছেন। ২০০৮-এ পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে বোর্ড গড়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল। কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন তৃণমূলের কমলা দাস চট্টরাজ। এক বছর পরেই সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। তিনি পদচ্যুত হন। এর পরে সভাপতি হন কংগ্রেসের শিখা মাহারা। অনাস্থা এনে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকেও অপসারিত করে নতুন সভাপতি করা হয় তৃণমূলের তপতী দাসকে। জোট রাজনীতির এই ভাঙাগড়া খেলায় রীতিমতো বিরক্ত দুই দলেরই নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, “দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু সদস্য ও সদস্যা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বার সভাপতি, সহ-সভাপতি বদল করছেন।” এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করেও জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত মালের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তবে সিউড়ি ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বর্ণশঙ্কর সিংহের প্রতিক্রিয়া, “বার বার বদলের ফলে এলাকার উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। প্রথম সভাপতি রেখা রায়কে অপসারণ করার কোনও কারণই তো দেখছি না!”
অন্য দিকে, দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতে দলীয় সদস্যদের ভোটে অপসারিত হলেন সিপিএম প্রধান রূপা দাস। বিডিও-র প্রতিনিধিদের সামনে শুক্রবার ৮-০ ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। দুবরাজপুরের বিডিও গোবিন্দ দত্ত বলেন, “যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছিলেন সেই সব সদস্যরা এই উপস্থিত ছিলেন।” ১৩ আসনের পদুমা পঞ্চায়েতে সিপিএম ১১, ফব ১, কংগ্রেস ১টি আসন পায়। পরে ১ সিপিএম সদস্য নিখোঁজ হলেও ক্ষমতায় বামফ্রন্টই ছিল। বামফ্রন্টের সাত সদস্য সপ্তাহ তিনেক আগে প্রধানের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও কাজের গতি থমকে যাওয়ার অভিযোগ এনে অনাস্থা আনেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন একমাত্র বিরোধী সদস্যও। সিপিএমের পদুমা লোকাল কমিটির সম্পাদক বলরাম ঘোষ অবশ্য বলেন, “ভয় দেখিয়ে ওই সব সদস্যদের নিজেদের দিকে টেনেছিল তৃণমূল।” যদিও ওই পঞ্চায়েতের ফব সদস্য কামাল খান, সিপিএমের মতিউর রহমানরা বলেন, “নিজের ইচ্ছায় সই করেছিলাম এবং এ দিন ভোটও দিয়েছি।”
তৃণমূলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের দাবি, “সিপিএম প্রধান রূপা দাসের বিরুদ্ধে ওই সদস্যদের অভিযোগ ছিল। উন্নয়ন থমকে ছিল। আমরা শুধু বাইরে থেকে ওই সব বিক্ষুব্ধ সদস্যের সমর্থণ জানিয়েছি।” প্রধান এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |