ক্ষতিপূরণের দাবি, বিক্ষোভ দুবরাজপুরে |
কয়লা খনি তৈরি করতে আসা একটি সংস্থার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত পুর্নবাসনের প্যাকেজ ঘোষণা না করেই জমি অধিগ্রহণ করে খোলামুখ খনি তৈরি করার কাজ শুরু করতে চলেছে ওই সংস্থা। শুক্রবার এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে দুবরাজপুর থানার পলাশডাঙায়। অজয় ও হিংলো নদীর ধার ঘেঁষা দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েতের ৯টি মৌজার প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করে মাটির নীচে মজুত থাকা কয়লা তোলার দায়িত্ব পেয়েছে ওই সংস্থা। এ দিন পলাশডাঙা গ্রামে খোলামুখ খনির জন্য ভূমিপূজো করতে আসা সংস্থার কর্মীরা ক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েকজন মধ্যস্থাকারির মাধ্যমে সংস্থাটি অল্প জমি কিনে বাকি জমির মালিক, বর্গাদারদের কাছ থেকে অল্প দামে জমি কেনার চেষ্টা করছে। এরফলে, চাষিরা উপযুক্ত পুর্নবাসন প্যাকেজ থেকে বঞ্চিত হবেন। সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্মল সরকার দাবি করেন, “ওদের দাবি ঠিক নয়। নিয়ম মেনে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করে কয়েকটি গ্রামে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমির মালিক থেকে ওই এলাকায় বসবাসকারী ভূমিহারা ও মজুরদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।”
|
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রেশনের মালপত্র বিক্রি ও ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। উঠেছে ভুয়ো রেশন কার্ড থাকার অভিযোগও। প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন বোলপুর থানার রূপপুর গ্রামের রেশন উপভোক্তারা। তাঁদের অন্যতম হাবিবুর রহমান, শেখ কুরবান, শেখ জামিরুল, সোম হাঁসদা, বাদল হাঁসদাদের অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামের রেশন ডিলার কান্তিরাম গুঁই ওজনে কম জিনিস দেন। সরকারি নির্ধারিতর চেয়ে বেশি দাম-ও নেন। বহুবার রেশন ডিলারের কাছে এ বিষয়ে আপত্তি জানানো হলেও তিনি আমল দেন না। ডিলারের কাছে প্রচুর ভুয়ো রেশন কার্ডও আছে। বাধ্য হয়ে এ দিন বোলপুরের মহকুমাশাসক এবং বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ‘মিথ্যা’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে কান্তিরামবাবু বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামেই রেশন-পণ্য বিক্রি করি। ওজনে কম দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রয়োজনে তদন্ত হোক।” বোলপুরের বিডিও অমল সাহা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। অভিযোগ সত্যি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
‘ফি’ বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিউড়ির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা ডিরেক্টর ও রেজিস্টারকে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবারের ঘটনা। তাঁদের অভিযোগ, আমাদের বার্ষিক ৫৫ হাজার ‘ফি’ দিতে আগে বলা হয়েছিল। আরও ১৫ হাজার টাকা চেয়ে বৃহস্পতিবার হঠাৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ। রেজিস্টার শিখরিনি মজুমদার বলেন, “সরকারের নিয়ম মেনে ‘ফি’ বাড়ানো হয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।”
|
সরকার নির্ধারিত মূল্যে ফসল কেনা, রাসায়নিক সার দেওয়ার দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শুক্রবার দুপুর ২টো পর্যন্ত অবস্থান-বিক্ষোভ করল জেলা যুব কংগ্রেস। পরে তাঁরা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্মারকলিপি দেয়। |