বিদ্যুৎ-সঙ্কট মেটানোর দাবিতে শুক্রবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির পুরুলিয়া ডিভিশনাল কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। পরে বণ্টন সংস্থার সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয় পুরুলিয়া শহর কংগ্রেসের তরফে।
এ দিন সকালে কংগ্রেসের শতাধিক কর্মী-সমর্থক পুরসভার সামনে থেকে হ্যারিকেন নিয়ে মিছিল করেন। এর পরে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কার্যালয়ের সামনে গিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে বিবাদ বাধে বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের দাবি ছিল, বিদ্যুৎ-সঙ্কটের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতেই তাঁরা হ্যারিকেন নিয়ে মিছিল করেছেন। তাই হ্যারিকেন নিয়েই সমস্ত কর্মী-সমর্থককে বিদ্যুৎ দফতরের ভিতরে ঢুকতে দিতে হবে। পুলিশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি হিসাবে ঢুকতে দেওয়ার কথা বলায় দু’পক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কয়েক জন কংগ্রেস নেতা কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে স্মারকলিপি জমা দেন। সঙ্গে ছিল লাড্ডুর প্যাকেট। দফতরের কর্মীদের তাঁরা মিষ্টি খাওনারো চেষ্টাও করেন। কিন্তু কর্মীরা রাজি হননি। |
কংগ্রেসের শহর কমিটির আহ্বায়ক কালীশঙ্কর ভট্টাচার্য, পুরুলিয়া পুরসভার দলীয় কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাসরা বলেন, “মাত্রাছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণে শহরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। টান পড়েছে ব্যবসায়ীদের জীবিকাতেও। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের কাছে সমস্যা সমাঝানের দাবি জানানো হয়েছে।” বণ্টন সংস্থার সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার সৌমেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, “আগের চেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে উন্নতি হয়েছে। তবে এই বিদ্যুৎ-সঙ্কটের বিষয়ে আমাদের করণীয় কিছু নেই। কংগ্রেসের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
অন্য দিকে, এ দিন একই দাবিতে বণ্টন সংস্থার পুরুলিয়া সার্কেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় মহাপাত্রকে স্মারকলিপি দেয় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অ্যাবেকা। সংগঠনের জেলা সম্পাদক গৌতম হাটির অভিযোগ, “আগামী দিনে বিদ্যুৎ মাসুল বাড়ানোর লক্ষ্যেই সরকার ক্যাপটিভ কয়লাখনি থেকে কয়লার বন্দোবস্ত না করে চড়া দামে কয়লা কিনে বিদ্যুৎ-সঙ্কট তৈরি করছে।” |