সিপিএমের কেশপুর জোনাল কার্যালয়, জামশেদ আলি ভবনের প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ-বিল বকেয়া হয়ে পড়েছে। এ বার বিধানসভা ভোটে পালাবদলের পরে না হয় কেশপুরের তাবড় সিপিএম নেতারা এলাকা ছাড়া। কিন্তু বিদ্যুৎ-বিল বকেয়া পড়েছে গত বছরের জানুয়ারি থেকেই। যখন কি না শাসন-ক্ষমতায় ছিল সিপিএমই। আর কেশপুরে ছিল তাদেরই অখণ্ড ও দোর্দণ্ডপ্রতাপ।
সেই জানুয়ারি থেকে এই সেপ্টেম্বর পর্যন্তই বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৯৮ টাকা! এ নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। ২১ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেও কেন জামশেদ আলি ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, সে প্রশ্ন উঠছে। কেশপুরের তৃণমূল নেতা আশিস প্রামাণিকের দাবি, “অবিলম্বে জামশেদ আলি ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা উচিত।” এখনকার ‘শাসক’ তৃণমূলের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ-বিল বাকি থাকলেও একদা শাসকদলের কার্যালয় বলেই বিদ্যুৎ দফতরের কেউ বকেয়া মেটানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেনি। |
তবে সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দ্রুতই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলই বলেন, “কেন এত টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে, সে সম্পর্কে খোঁজখবরও নেব।” আর বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুরের জোনাল ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহার বক্তব্য, “এত টাকা বিদ্যুৎ-বিল বকেয়া থাকা সত্ত্বেও কেন ওখানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন করা হয়নি, তা খতিয়ে দেখা হবে। উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হবে।”
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, ক’মাস আগেও বিলের পরিমাণ ছিল আরও বেশি। দু’লক্ষাধিক টাকা। গত ১২ সেপ্টেম্বর ৬২ হাজার টাকার বিল মেটানো হয়। এর তিন মাস আগে আরও ৪০ হাজার টাকার বিল মেটানো হয়েছিল। বর্তমান ‘শাসক’ তৃণমূলের তরফে সিপিএম কার্যালয়ের মোটা টাকা বিদ্যুৎ-বিল বকেয়া নিয়ে পুরনো শাসকদের বিরুদ্ধে ‘বিলাসিতা’র অভিযোগও তোলা হয়েছে। সিপিএমের এক নেতা অবশ্য জানিয়েছেন, পার্টি-অফিসে পাম্প থেকে জল তোলা হত। সেই জন্যই বেশি বিল। বিদ্যুৎ দফতরের নথি অনুযায়ী, পার্টি-অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ হলেও গ্রাহক হিসাবে নাম রয়েছে প্রয়াত এক সিপিএম নেতা চিত্তরঞ্জন খামরইয়ের/খানের। এক সময়ে তিনি ছিলেন সিপিএমের কেশপুর লোকাল কমিটির অফিস-সম্পাদক। তাই তাঁর নামেই বিল। চিত্তবাবু মারা যাওয়ার পরেও গ্রাহক-নাম বদলানো হয়নি। |