ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে দূষণ থেকে বাঁচাতে ওই সৌধের চারপাশে বন্ধ হয়ে গেল গাড়ি পার্কিং।
বায়ুদূষণের হাত থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের শুভ্রতাকে রক্ষা করতে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০০৭ সালে ওই এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করে রায় দেয়। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের একটি সংগঠন হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেই আবেদন করে। কিন্তু সেই আবেদন বাতিল হয়ে যায়। পরে ওই সংগঠনটি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। যার ফলে, এত দিন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা ভিক্টোরিয়ার ফটকের সামনে গাড়ি রেখেই চত্বরে ঢুকতেন। কিন্তু, দিনের অন্য সময়ে ভিক্টোরিয়ার চারপাশে গাড়ি রাখা যেত না। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলার চূড়ান্ত রায়ে যা বলেছে, তাতে দিনের কোনও সময়েই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের চারপাশে গাড়ি রাখা যাবে না।, অর্থাৎ, ওখানে পার্কিং বন্ধ করে কলকাতা হাইকোর্ট প্রথমে যে রায় দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট সেটাই বহাল রাখল। |
গাড়ি পার্ক করার এবং গাড়ির ইঞ্জিন চালু করার সময়ে সাধারণত অনেক বেশি কালো ধোঁয়া নির্গত হয়। সেই কারণেই সৌধের চারপাশে গাড়ি পার্কিং বন্ধ করেছিল আদালত। কিন্তু, ভিক্টোরিয়ায় যাঁরা প্রাতর্ভ্রমণ করতে যান, তাঁদের অনেকেই গাড়িটি সৌধের ফটকের কাছে পার্ক করে রেখে ভিক্টোরিয়ার বাগানে হাঁটাহাঁটি করেন।
হাইকোর্টের মূল আবেদনকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলার শুনানিতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত সওয়াল করেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, যাঁরা গাড়ি নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণে যেতে চান, তাঁদের জন্য কলকাতায় অনেক বিকল্প জায়গা আছে। তাঁরা চাইলে ময়দান বা ইডেন গার্ডেন্সে যেতে পারেন। এ ছাড়া, মোহনবাগান মাঠ, ইস্টবেঙ্গল মাঠ ও মহামেডান স্পোর্টিং মাঠের চারপাশে বিস্তর জায়গা রয়েছে। রয়েছে গঙ্গাপাড়।
সুভাষ দত্ত চান, ভিক্টোরিয়া চত্বরে প্রাতর্ভ্রমণও বন্ধ হোক। সুভাষবাবুর প্রশ্ন, “কেউ চাইলে কি তাজমহল চত্বরে প্রাতর্ভ্রমণ করতে পারবেন? তা হলে ভিক্টোরিয়ায় সকালে প্রাতর্ভ্রমণকারীদের ঢুকতে দেওয়া হবে কেন? ব্রিগেডের মতো বিশাল সবুজ থাকতে তাঁরা কেন ভিক্টোরিয়ায় চত্বরে হাঁটবেন?” সুভাষবাবু জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ভিক্টোরিয়া চত্বরের পরিবর্তে ময়দানে, ইডেন উদ্যান বা গঙ্গার ধারে প্রাতর্ভ্রমণ করার সুপারিশ করা হয়। |