মঞ্চে এক হয়ে গেল গোয়াং ঝু আর ইম্ফল। মূকাভিনয়ের হাত ধরে ফের এক বার ইরম শর্মিলা চানু আন্তর্জাতিক হয়ে উঠলেন। গোয়াং ঝু হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দক্ষিণ কোরিয়ায় চুংচেয়ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই, মণিপুরি মূকাভিনেতারা মঞ্চস্থ করলেন ‘মিরেল মাসিংখা’ বা ‘আত্মার ইচ্ছা’। এই নাটকের মাধ্যমে মণিপুর কন্যার ১১ বছরের অনশন আন্দোলনের কথা জেনে অভিভূত সমগ্র দর্শককুল। ইম্ফলের ‘কাংলেই মাইম থিয়েটার রেপর্টরি’র ১৫ জন সদস্য দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য দেশের দর্শকদের সামনে আফস্পার দমন নীতি, নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা ও চানুর অনশন-আন্দোলনকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরেন। |
পরিচালক সদানন্দ সিংহ জানান, “সরকারি দমন নীতি ও স্বৈরাচারের সামনে কোথায় যেন গোয়াং ঝু আর ইম্ফল এক হয়ে যায়। অভিনয় শেষে দর্শকের আবেগ ও উচ্ছাস দেখে আমরা মুগ্ধ। ওঁরা বুঝেছেন, গত তিন দশক ধরে কী ভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন মণিপুরবাসী।” ২০০৭ সালে চানু, গোয়াং ঝু পুরস্কারও পেয়েছিলেন। চানুর লড়াইকে আন্তর্জাতিক স্তরে ছড়িয়ে দিতে এ বারের গোয়াং ঝু উৎসবে এই অভিনয় এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ১৯৮৭ সালে গঠিত কাংলেই মাইম থিয়াটার মণিপুরের একমাত্র পেশাদার মূকাভিনয় দল। দেশের বিভিন্ন স্থানে মূকাভিনয়ের মাধ্যমে নানা সামাজিক সমস্যা তুলে ধরে তাঁরা প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এ ছাড়া, গ্রিসের আন্তর্জাতিক পুতুলনাচ ও মূকাভিনয় উৎসব এবং ম্যাসিডোনিয়ায় আন্তর্জাতিক মূকাভিনয় ও শরীরী নাট্য উৎসবে যোগ দিয়ে মণিপুরের নাট্য-নৃত্য কলার মিশ্রণে বানানো অনন্য মূকাভিনয় শৈলীকে যথেষ্ট জনপ্রিয় করেছেন সদানন্দ সিংহের দল। |