বিদ্যুৎ বিপর্যয়
চার-পাঁচ দিনেই সমস্যা মিটবে, আশ্বাস শিন্ডের
দেওয়ালির অনেক আগেই বিদ্যুৎ সমস্যা মিটে যাবে। আজ এমনই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে। তিনি জানিয়েছেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
গত কাল পর্যন্তও শোনা গিয়েছিল জাতীয় তাপবিদ্যুৎ নিগমের (এনটিপিসি) হাতে যা কয়লা আছে তাতে এক দিন কি দু’দিন চলবে। অর্থাৎ প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল আলোর উৎসব। আজ শিন্ডে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “টানা বৃষ্টিতে বন্যা হওয়ায় ওড়িশা ও কয়েকটি রাজ্যের খনি এলাকাগুলির অবস্থা খুব খারাপ। কয়লা পাঠানো যাচ্ছে না। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। দেওয়ালিতে আলো জ্বলবেই।” দুই কিংবা তিন দিন চালানোর মতো অবস্থায় থাকা বিদুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিন্ডে।
দেওয়ালির ঠিক আগেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে গোটা দেশেই। কয়লার সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে দেশের সব থেকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা এনটিপিসি। সারা দেশে তাদের ৪০টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিই জ্বালানির অভাবে ভুগছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশের উনচাহার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও রয়েছে, যেখান থেকে দিল্লিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। হরিয়ানার পানিপথে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি রয়েছে, সেটিও জ্বালানির অভাবে ধুঁকছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তেলেঙ্গানা আন্দোলনের জেরে এবং বিভিন্ন রাজ্যের খনি এলাকায় বন্যা হওয়াতেই বিদুৎ বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তেলেঙ্গানা আন্দোলনের ধাক্কায় সিঙ্গারেনি কয়লাখনিতে যে ধর্মঘট চলছে তারই জেরে গোয়া, পুদুচেরি-সহ দক্ষিণের ৬টি রাজ্য বিদুৎ-অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নগর বেঙ্গালুরুও সঙ্কটে। অন্য দিকে, বন্যার কারণে কয়লা পরিবহণে সমস্যা হচ্ছে।
কয়লা দ্রুত পাঠানোর জন্য কয়লা মন্ত্রক ও রেল মন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করা হচ্ছে বলে শক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। কয়লা মন্ত্রক শক্তি মন্ত্রককে আশ্বাস দিয়েছে, বৈদ্যুতিন নিলামের (ই-অকশন) মাধ্যমে এনটিপিসিকে কয়লা পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। শিন্ডে অবশ্য মনে করছেন, ই-অকশনের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
এ দিকে, কর্নাটকে ক্ষমতাসীন বিজেপি জানিয়েছে, বিদ্যুৎ-বিপর্যয়ে কেন্দ্রের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে আগামী ১৮ অক্টোবর তারা রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হবে। দলের রাজ্য সম্পাদক সি টি রবি বলেছেন, “কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করছে। কেন্দ্রের চূড়ান্ত অসহযোগিতার জন্যই কর্নাটক আজ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আমরা রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নামছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.