কাশ্মীর নিয়ে ‘টিম অণ্ণা’-র সদস্য প্রশান্ত ভূষণের পাশে দাঁড়ালেন না অণ্ণা হজারে। প্রশান্তকে আদৌ অণ্ণা শিবিরে রাখা হবে কি না তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
কাশ্মীরে গণভোটের সপক্ষে মন্তব্য করায় সম্প্রতি প্রশান্তের উপরে হামলা চালায় শ্রীরাম সেনা ও ভগত সিংহ ক্রান্তি সেনার তিন সদস্য। এই হামলার সমালোচনা করলেও প্রশান্তের বক্তব্যকে একেবারেই সমর্থন করেননি অণ্ণা। তাঁর মতে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এই বিষয়ে কোনও বিতর্ক অর্থহীন। প্রশান্তের বক্তব্য তাঁর নিজস্ব। অণ্ণা শিবিরের সঙ্গে এই বক্তব্যের কোনও যোগ নেই। প্রশান্ত এই মন্তব্য করার আগে অণ্ণা শিবিরের সঙ্গে কোনও আলোচনাও করেননি। প্রশান্তকে আর তাঁদের শিবিরে রাখা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অণ্ণা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ অণ্ণার গ্রাম রালেগণ সিদ্ধিতে তাঁর সমর্থকদের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে প্রশান্ত এবং কিরণ বেদী হাজির ছিলেন না। পরে অবশ্য অণ্ণা শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রশান্ত ভূষণকে তাঁর মূল পরামশর্দাতাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা অণ্ণা কখনই বলেননি। প্রশান্তের বক্তব্যকে সমর্থন করেননি অণ্ণা শিবিরের সদস্য স্বামী অগ্নিবেশও। তবে বাক স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর মতে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির উচিত পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে দেশের অন্তর্ভুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চেষ্টা করা। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিনা সেনার উপস্থিতি ভারতের পক্ষে উদ্বেগের কারণ। তবে জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি বিরুদ্ধ মতকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করা উচিত নয়। অহিংস উপায়ে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নিজেদের মত প্রচার করতেই পারে।
প্রশান্তের উপরে হামলাকারী তেজেন্দর পাল সিংহ বাগ্গা, বিষ্ণু গুপ্ত ও ইন্দর বর্মাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে দিল্লির আদালত। এই ঘটনাকে সমর্থন করেছেন শিবসেনা প্রধান বাল ঠাকরে। দলীয় মুখপত্রর এক সম্পাদকীয়তে বালসাহেব বলেছেন, “পাকিস্তান কাশ্মীরে গণভোট চায়। সেই দাবিকে সমর্থন করে দেশ-বিরোধী বক্তব্য প্রচার করেছেন প্রশান্ত ভূষণ। এর পরে নিশ্চয়ই ফুল দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হবে না। তাঁকে যারা মারধর করেছে তারা গুন্ডা বা চোর নয়।” কিন্তু এর সমালোচনা করেছে আরএসএস। আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য জানান, এই হামলাকে তাঁরা সমর্থন করেন না। |