যানজট এড়াতে গার্ডেনরিচের বিচালিঘাট থেকে বিএনআর হয়ে দইঘাট পর্যন্ত গঙ্গার উপরে ৫ কিমি দীর্ঘ সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। মূলত খিদিরপুরের নজরুল সেতু ও তার কাছেই সুইং সেতুর যান চলাচলে গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত বলে শুক্রবার জানান পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
খিদিরপুর ডকে জাহাজের যাতায়াতের পথেই নজরুল সেতু। জাহাজ এলে সেতুটি ঠিক মাঝখান থেকে খুলে দেওয়া হয়। জাহাজটি না পেরোনো পর্যন্ত সেতুর সমান দুই অংশ সোজা হয়ে থাকে রাস্তার দু’ধারে। তার পরে আবার দুই অংশ নামিয়ে স্বাভাবিক ভাবে যান চলাচল শুরু হয়। বন্দর-কর্তৃপক্ষের ভাষায় ওই সেতুর নাম বাস্কুল সেতু। পাশেই সুইং সেতু অন্য সময়ে যান চলাচলের জন্য ব্যবহার হয়। কিন্তু জাহাজ পারাপারের সময়ে সেটি ঘুরিয়ে গঙ্গার উপরের অংশ মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্কুল সেতু ও সুইং সেতু দু’টি খোলার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। জাহাজ পারাপারের সময়ে কতক্ষণ সেতু দু’টি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকবে, ঠিক নেই তা-ও। জাহাজটি কত বড়, তার উপরে নির্ভর করে প্রতি বার কতক্ষণ সেতু দু’টি খোলা থাকবে। ফলে গার্ডেনরিচের ব্যস্ত রাস্তায় প্রতিদিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট থাকে। যানজট এড়াতেই তারাতলা হয়ে কলকাতায় আসতে হয় গাড়িগুলিকে। এতে সময় বেশি লাগে। তাই রাজ্য ঠিক করেছে, ওই দুই সেতু এড়িয়ে সরাসরি গঙ্গার উপরে চার লেনের সেতু তৈরি হবে। ফলে যানজট এড়ানো যাবে, ধর্মতলা পৌঁছতে সময়ও কম লাগবে। ৫ কিমি দীর্ঘ ওই সেতু তৈরি হবে ‘ওয়েল পাইলিং’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ নদীর মধ্যে গভীর গর্ত করে ঢালাই করে স্তম্ভ তোলা হবে। তার উপরে হবে সেতু। প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। তা জাপান ইন্টারন্যাশন্যাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছ থেকে জোগাড় করা হবে বলে পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন। |