ব্যস্ত রাস্তায় দোতলা বাড়িতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ছাড়াও একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান। রোজ কয়েক কোটি টাকার লেনদেন। কিন্তু ব্যাঙ্কে এক জন বন্দুকধারী রক্ষী। এর সুযোগ নিয়েই শুক্রবার সকালে ডাকাতি হল বেলঘরিয়ায় ওই বাড়ির দোতলার একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে। পুলিশ জানায়, সকাল ১০টা নাগাদ মুখে রুমাল বাঁধা চার যুবক ঢোকে। তখন মাত্র পাঁচ জন কর্মী ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ম্যানেজার-সহ কর্মীদের স্ট্রং রুমে তালাবন্দি করে টাকা ও দু’প্যাকেট সোনার গয়না নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। আটক কর্মীরা অ্যালার্ম বাজালে ব্যাঙ্কেও ছুটোছুটি শুরু হয়। ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষী সুখেন রায় বলেন, “অ্যালার্ম শুনে ব্যাঙ্কে ডাকাত ঢুকেছে ভেবে বন্দুক হাতে গেটের কাছে গিয়ে দেখি, উপরে বাজছে। উপরে গিয়ে দেখি অফিস ফাঁকা। স্ট্রং রুম থেকে চিৎকার আসছে। পরে কলকাতা অফিস থেকে চাবি এনে ওঁদের বার করা হয়। পুলিশকে আমিই ফোন করি।” পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ও বন্ধক থাকা গয়না নিয়ে গিয়েছে। কর্মীদের দাবি, দু’টি প্যাকেটে কয়েক কেজির গয়না ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “সিসিটিভি দেখে দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা হচ্ছে। কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এতগুলি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এ দিন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ও সিআইডির একটি দলও ঘটনাস্থলে যায়।
|
মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মানবিক মুখ’ ফের দেখলেন পুলিশকর্মীরা। কলকাতা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর যাওয়ার পথে তাঁর নিরাপত্তা আধিকারিকদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী খবর পান, ডেবরার কাছে একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছেন দিলীপ সরকার নামে কর্তব্যরত এক পুলিশ কনস্টেবল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। দিলীপবাবুকে কলকাতায় এন আর এস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে নিরাপত্তা আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। তখনই মমতা নির্দেশ দেন, ওই কনস্টেবলের চিকিৎসার খরচ রাজ্য সরকারই বহন করবে। দিলীপবাবুকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করারও নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই কনস্টেবলের। রাতে এ খবর পাওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী দিলীপবাবুর দাদাকে ফোন করেন। ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকার্ত দাদাকে সান্ত্বনা দেন তিনি। তাঁকে বলেন, ভাইয়ের পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম মিটে যাওয়ার পরে তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। যে হেতু কর্তব্যরত অবস্থায় দিলীপবাবুর মৃত্যু হয়েছে, তাই তাঁর স্ত্রী যাতে দ্রুত চাকরি পান, সে ব্যাপারে তিনি নিজে উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আগামিকাল দিলীপবাবুর শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকার জন্য সেখানকার বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
|
কলকাতার পথশিশুদের জন্য ১০টি আবাসিক স্কুল খুলবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার স্কুলশিক্ষা সচিব বিক্রম সেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, “১০টি স্কুলের মধ্যে ২টি দক্ষিণ কলকাতায় এবং বাকিগুলি উত্তর ও মধ্য কলকাতায় হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে।” ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হওয়া এই স্কুলগুলির প্রতিটিতে ১০০-১৫০ আসন থাকবে বলেও তিনি জানান। শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সর্বশিক্ষা অভিযানের আওতায় কলকাতায় ৩৮৫টি শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এগুলিতে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ানো হয়। কিন্তু সেগুলি থেকে বেরোনোর পর অনেকে সমাজের মূলস্রোতে আসছে না। শিক্ষা দফতরের এক অফিসার জানান, আবাসিক বিদ্যালয় এবং নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালে সেই সমস্যা কমবে। আবাসিক স্কুলগুলির জায়গা চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে বলেও খবর।
|
সমস্যা সেই জমি অধিগ্রহণ নিয়ে। তবে এ ক্ষেত্রে জমির পরিমাণ মাত্র ৭০০ মিটার। তাতেও আটকে গেল ন’পাড়া-বরাহনগর মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ। বুধবার থেকে ন’পাড়ায় ওই কাজের তোড়জোড় চলছিল। বৃহস্পতিবার কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় তিনটি কলোনির বাসিন্দারা নির্মাণকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘কাজ শুরু হলেই কলোনির বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করা হবে। তাই ক্ষতিপূরণ কী বলা হোক, তার পরে কাজ।’’ অনেকের হাতে ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উচ্ছেদের বিরুদ্ধে’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ‘কলোনি বাঁচাও’ নামে একটি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। তার তরফেই বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয় বলে জানায় পুলিশ। সম্প্রসারিত গোটা পথটি হবে স্তম্ভের উপরে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি ডোবার উপরে স্তম্ভ বসানোর জন্য শ্রমিকেরা যেতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “স্থানীয় সাংসদ, বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে মঞ্চের নেতাকে আলোচনায় ডাকা হয়েছে। তার পরেই পরবর্তী পর্যায়ে কাজের কথা ভাবা হবে।” |