আশ্বাস আসানসোলে
চওড়া হবে রাস্তা, বসবে ক্যামেরাও
যানজটের শহর আসানসোল। ভোটের আগে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির আশ্বাস দিয়েছেন নেতারা। গতি বাড়েনি শহরের।
এ বছর সেপ্টেম্বরের গোড়ায় আসানসোল-দুর্গাপুরে কমিশনারেট চালু হওয়ার পরে নতুন করে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সাজানোর উদ্যোগ হয়েছে। এই নিয়েই বৃহস্পতিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ। উপস্থিত ছিলেন মেয়র তথা এডিডিএ-র চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ত দফতরের আসানসোল বিভাগের প্রতিনিধিরা।
এ দিন পুলিশ কমিশনার জানান, শহরের ভগৎ সিংহ মোড়, হাটন রোড, বি এন আর মোড় ও শতাব্দী শিশু উদ্যান মোড়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থার আরও উন্নতি করা হচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরাও বসানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আসানসোল বাজার, হাটন রোড, বি এন আর এলাকায় পায়ে হাঁটার পথ তৈরি করা হবে। যাতে দুর্ঘটনা কমে।” আসানসোলের ট্রাফিক ব্যবস্থা বদলানোর খরচের কিছুটা অংশ আসানসোল পুরসভা ও ইস্কো স্টিল প্ল্যান্টের কাছ থেকে পাওয়া যাবে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
আসানসোল হাটন রোডের মূল বাজার এলাকায় ছবিটি তুলেছেন শৈলেন সরকার।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জন্য এক হাজার সিভিক পুলিশ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এই বাহিনীর ৬০ শতাংশই আসানসোলের ট্রাফিক ব্যবস্থা সামাল দেওয়ার কাজে লাগানো হবে। শীঘ্রই আসানসোল-দুর্গাপুরে ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করে পথচারী ও গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ কর্মীদেরও ট্রাফিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার।
আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুলিশ কমিশনারের কাছ থেকে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব এসেছে। ইতিমধ্যেই সেগুলি রূপায়ণের উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। আসানসোলের ভগৎ সিংহ মোড় ও শতাব্দী শিশু উদ্যান মোড় এলাকায় জি টি রোড চওড়া করে দেওয়া হবে। এই দু’টি মোড় শহরের কেন্দ্রস্থলে হলেও প্রয়োজন মাফিক প্রশস্ত না হওয়ায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। একই সঙ্গে আসানসোল বাজার ও বি এন আর সংলগ্ন অঞ্চলে ফুটপাথ তৈরিতেও উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। আসানসোল বাজারে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাথ দখল মুক্ত করার কোনও পরিকল্পনা পুরসভার নেই। তবে ফুটপাথটি সাধারণ পথচারীদের চলাচলের উপযোগী করে তোলার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র।
আসানসোল বাজারের মূল বাজার এলাকায় যানজটের একটি কারণ হল গাড়ি ও মোটরবাইক পার্কিং। হাটন রোড মোড় থেকে শুরু করে রাহা লেন পর্যন্ত একাধিক জায়গায় পুরসভার অনুমতি সাপেক্ষে গাড়ি ও মোটরবাইক স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিনই দেখা যায়, এই স্ট্যান্ডগুলির গাড়ি ও বাইক রাস্তার অর্ধেক অংশ দখল করে নিয়েছে। মেয়র জানান, স্ট্যান্ডের ঠিকাদাররা নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে অনেক বেশি গাড়ি ও বাইক রাখার জন্যই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, “পুলিশ কমিশনার পার্কিং স্ট্যান্ডের সংখ্যা, তার ঠিকাদার, কতটা জায়গা জুড়ে স্ট্যান্ড করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার হিসাব চেয়েছেন।” পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দের আশ্বাস, “স্ট্যান্ডের ঠিকাদারদের জানিয়ে দেওয়া হবে তাঁরা কতগুলি গাড়ি বা মোটরবাইক পার্ক করতে পারবেন। এর থেকে বেশি রাখা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ফের মিলেছে আশ্বাস। তবে না আঁচালে বিশ্বাস করতে নারাজ শহরবাসী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.