সফর সংক্ষেপে |
পরনে নতুন ধুতি পাঞ্জাবি। হাতে দক্ষিণেশ্বরের কালীর বাঁধানো ছবি। ভদ্রলোক শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের সঙ্গেই এনএইচপিসি বাংলোর মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে ঢুকে গেলেন। উনি শিলিগুড়ির মহানন্দা কালীবাড়ির পুরোহিত অক্ষয় চক্রবর্তী। বিধায়ক রুদ্রনাথবাবুর পরিচিত। ‘দিদি’কে তিনি ছবিটি উপহার দিতে এসেছিলেন। কিন্তু ছবি হাতে ফের বাইরে? অক্ষয়বাবু বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে মন্দিরে আসতে বলেছি। উনি পরের বার যাবেন বলেছেন। ছবিটা বিধায়ক রুদ্রবাবুকে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় পৌঁছে দিতে বলেছেন।” |
|
আলাদা পুলিশ ভ্যান। র্যাঙ্ক সাব ইন্সপেক্টর। সঙ্গী আবার দু’জন কনস্টেবল। নাম-বিঙ্গো। মুখ্যমন্ত্রীর টানা ডিউটি করতে করতে অন্য পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি বিঙ্গোরও অবস্থা খারাপ। নাওয়া-খাওয়ার সময় ঠিক নেই। নজরদারি ও পরীক্ষার কাজ করতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। তার উপরে গরমে কাহিল দশা বিঙ্গোর। অগত্যা গাড়ি থেকে নেমে এই সাব ইন্সপেক্টর মাটিতেই শুয়ে পড়লেন। কাজ না হওয়ায় পার্কিং লটে গাছের নীচে শুয়ে থাকলেন। শেষ গাড়ি যাতায়াতে বিরক্ত বিঙ্গো গাড়িতে উঠে মুখ্যমন্ত্রীর ডিউটিতে বার হলেন। বিঙ্গো জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের প্রশিক্ষিত কুকুর। |
|
বাংলোর সামনে সুদৃশ্য বাগান। বাগানে ফোয়ারা। পাহাড়-ডুয়ার্স সফর শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনএইচপিসি’র এই বাংলোয় এসেছেন। এ দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ফিরে যাবেন। সকাল থেকে সাজসাজরব বাংলোয়। বাংলোর কয়েকজন কর্মীর নজরে পড়ল ফোয়ারাটা চালু করা হয়নি। দৌড়ঝাপ শুরু হল। কর্মীদের খোঁজ মিলল বটে কিন্তু ততক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় রওনা হয়ে গিয়েছে। |
|