নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী |
এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল বাসন্তীর একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় বুধবার রাতে স্থানীয় তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা সুদীপ মাইতি (৩০) নামে ওই ব্যক্তিকে বাসন্তীর ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তাঁকে রক্ত দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। মৃতের দাদা প্রদীপ মাইতি পুলিশের কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, রাতে ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট বেড়েছিল। কিন্তু কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি।
প্রদীপবাবু বলেন, “চিকিৎসক তপনকুমার ভট্টাচার্যের কথামতো ভাইয়ের জন্য রক্ত এনে দিই। কিন্তু রক্ত দেওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে ভাইয়ের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু তখন কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি।” অন্যদিকে, রোগীকে না দেখার অভিযোগ মানেননি তপনবাবু। তিনি ওই নার্সিংহোমের মালিকও। তপনবাবু বলেন, “নার্সিংহোমে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ব্যবস্থা নেই। রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় রোগীর আত্মীয়েরা যে রক্ত এনে দিয়েছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে সেই রক্তই রোগীকে দেওয়া হয়েছিল। রোগীর আত্মীয়েরা সম্ভবত গ্রুপ মিলিয়ে রক্ত আনেননি। সেই কারণে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। রোগী ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ মারা যান। তার অনেক আগে থেকেই আমি রোগীর কাছে ছিলাম।” তাঁর দাবি, রোগীর অবস্থা দেখে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রোগীর আত্মীয়েরা তা শোনেননি। প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, তিনি ভাইয়ের রক্তের গ্রুপ জানতেন না।
সুদীপবাবু বাসন্তী হাইস্কুলে আংশিক সময়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই নার্সিংহোমে আসেন স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মোশারেফ মল্লিক। তিনি সুদীপবাবুকে নিজেদের দলীয় সমর্থক বলে দাবি করেন। মোশারেফের অভিযোগ, “সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার জন্য সুদীপবাবুর মৃত্যু হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। |