মুখ্যমন্ত্রী আসছেন... কী চাইছে জঙ্গলমহল |
|
অশোক জীবন, সম্পাদক,
সন্ত্রাস-আগ্রাসন বিরোধী মঞ্চ
সমস্যা: মূল সমস্যা অনুন্নয়ন। জঙ্গলমহলের মানুষ ফুটবল, সাইকেল বা ২ টাকা কেজি দরে চাল,
এই ভিক্ষে চাননি। চেয়েছেন, সরকার তাঁদের আত্মমর্যাদা বোধকে সম্মান দিক।
সমাধানের পথ: শান্তি স্থাপনের চাবিকাঠি মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে
হবে। সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।
আশু প্রত্যাশা: প্রতিশ্রুতি পূরণে মা-মাটি-মানুষের সরকারের এত দ্বিধা কেন? যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার,
মিথ্যে মামলায় ধৃতদের মুক্তি দেওয়া হোক। |
|
|
নগেন মাহাতো, কৃষক, ধরমপুর
সমস্যা: অনুন্নয়নের জন্যই যত সমস্যা। বেহাল সেচ-ব্যবস্থা। চাষ হয় না ভাল। গরিব হওয়া সত্ত্বেও
বিপিএল তালিকায় নাম ওঠেনি। নতুন রেশন কার্ডও পাইনি।
সমাধানের পথ: রাজ্য সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। দ্রুত উন্নয়নের কাজ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর উপর প্রত্যাশা অনেক।
আশু প্রত্যাশা: এই এলাকার জন্য আরও উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগে যে
সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলোর কাজও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হবে। |
|
|
রেখা পান্ডে, বধূ, ধরমপুর
সমস্যা: নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। রাস্তার অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। অধিকাংশ জমিতেই সেচের জল
পৌঁছয় না। সমগ্র জঙ্গলমহল যেন অনুন্নয়নেই জর্জরিত।
সমাধানের পথ: পরিকল্পনা করে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা
করেই কাজ এগোতে হবে।
আশু প্রত্যাশা: পুলিশ আগের মতো অত্যাচার করবে না। যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার হবে। ঝাড়গ্রামে এসে নিশ্চয়ই
এ সম্পর্কে কিছু ঘোষণা করবেন দিদি। পুলিশকেও সংযত হতে বলবেন। |
|
|
পদ্মলোচন মাহাতো, চাষি, জিরাকুলি
সমস্যা: অনেক সমস্যা। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলি। গ্রামের রাস্তা-ঘাট সংস্কারের প্রয়োজন।
চাষের জন্য সার পাইনি। এলাকায় পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে।
সমাধানের পথ: রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলেই সব সমস্যার সমাধান হবে। সাধারণ মানুষের
সঙ্গে কথা বলে কাজ করলে ভাল হয়।
আশু প্রত্যাশা: এরই মধ্যে জঙ্গলমহলের জন্য বেশ কিছু প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঘোষিত প্রকল্পের কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হোক। পুলিশকে আরও সংযত হতে বলা হোক। |
|
|
চুনিবালা হাঁসদা, ঝাড়খণ্ডী নেত্রী
সমস্যা: প্রতিশ্রুতি দ্রুত কার্যকর হচ্ছে না। পুলিশের ভূমিকা ভাল নয়। যৌথ বাহিনী তুলতে বলছি না।
কিন্তু কিছু হলেই মাওবাদী-কার্যকলাপ বলা হচ্ছে। তদন্ত হবে না? মাওবাদী সন্দেহে ধরপাকড় বন্ধ করতে হবে।
সমাধানের পথ: আলোচনাতেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। সঙ্গে চাই দ্রুত উন্নয়ন।
আশু প্রত্যাশা: শুধু পুলিশ নয়, অন্য সরকারি দফতরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হোক। |
|
|
সুব্রত ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা
সমস্যা: শুধু অনুন্নয়ন সমস্যা বললে অতি সরলীকরণ হবে। জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক সমস্যাও
মোকাবিলা করতে হবে।
সমাধানের পথ: আলাপ-আলোচনাই গণতন্ত্রের পথ। ওদের (মাওবাদী) সঙ্গে আলোচনার তোড়জোড়
হচ্ছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।
আশু প্রত্যাশা: নিখোঁজদের সন্ধানে তদন্ত কমিশন হোক। মিথ্যা মামলায় ধৃতদের মুক্তি দেওয়া হোক।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দ্রুত কার্যকর হোক। |
|
|
চুড়ামণি মাহাতো, তৃণমূল বিধায়ক
সমস্যা: গত ৩৫ বছরে সে ভাবে উন্নয়ন হয়নি। বিশেষ করে সেচ ব্যবস্থার উন্নতি প্রয়োজন।
সমাধানের পথ: উন্নয়নে সঠিক পরিকল্পনা চাই। মানুষের সঙ্গে কথা বলেই কাজ করতে হবে।
কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে। আশা করি, কাজ স্বাভাবিক গতিতে এগোবে।
আশু প্রত্যাশা: মিথ্যা মামলায় ধৃতদের মুক্তি দেওয়া হোক। যৌথ বাহিনী প্রত্যাহার করা হোক।
বাহিনী ফিরলেই এলাকায় শান্তি ফিরবে। |
|
|
দিবাকর হাঁসদা, সিপিএম বিধায়ক
সমস্যা: সেচ-স্বাস্থ্য-শিক্ষার উন্নতি প্রয়োজন। এখন অশান্তিই মূল সমস্যা। সুস্থ পরিবেশ না থাকলে
কোনও কাজ সম্ভব নয়।
সমাধানের পথ: সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে উন্নতি করতে হবে। রাজ্যকে এই আলোচনার
পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
আশু প্রত্যাশা: মুখ্যমন্ত্রী আগের বার এসে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
এ বার প্রতিশ্রুতি মতো কাজ হলেই ভাল। |
|
|