শাসপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাতের ঠাঁই হতে চলেছে বাঁকুড়ার একটি হোমে। শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দেন। হাসপাতাল সুপার অভিরূপ মণ্ডল বলেন, “বাঁকুড়ার ওই সংগঠনটির সরকারিভাবে দত্তক নেওয়ার ছাড়পত্র রয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই ওই শিশুকে ওই সংগঠনের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” |
মাসখানের আগে কালনা ২ ব্লকের শাসপুর গ্রামে এক রাতে ওই সদ্যোজাতকে বাড়ির বাইরে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন রবি মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী লতা মণ্ডল। শিশুর কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের। বাইরে বেরিয়ে দেখেন কাছে একটি বাড়ির দরজার সামনে এক সদ্যোজাত চিৎকার করছে। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রবিবাবু ও লতাদেবী। কিন্তু এর পরেই শুরু হয় বিপত্তি। এলাকার অনেকে শিশুটিকে পাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সদ্যোজাতের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানান।
রবিবাবুদের আবেদন পেয়ে মহকুমা প্রশাসনের তরফে কালনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ওই শিশু কন্যাকে তাঁদের হেফাজতে রাখেন। তখন থেকে হাসপাতালের নার্স ও কর্মীরাই শিশুটির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। পুজোর আগে শিশুটি হাসপাতালে আসায় তার নাম রাখা হয় আগমনী।
শিশুটির চলে যাওয়ার খবর শুনে মন খারাপ অনেকেরই। হাসপাতালের কর্মী গৌরী ঘোষ বলেন, “পঞ্চমীর দিন নতুন জামা-প্যান্ট কিনে এনে ওকে পড়িয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটা চলে যাবে শুনে আর ভাল লাগছে না।” |