টাওয়ারের তলার মাটি কেটে নিচ্ছে চোরেরা। এর জেরে যে কোনও সময়ে ধসে পড়তে পারে ডিপিএল থেকে বি-জোন সাবস্টেশনে ১৩২ কেভি বিদ্যুৎ যাওয়ার লাইনের ওই টাওয়ার। যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অবিলম্বে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরে তা উচ্চ পরিবাহী লাইনের মাধ্যমে ডিপিএলের বিভিন্ন সাবস্টেশনে পাঠানো হয়। তার পরে সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। সংস্থার বি-জোন সাবস্টেশনে যে লাইনটি গিয়েছে তার একটি টাওয়ারের তলা থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা চলছে। বাসিন্দাদের দাবি, পেশাদার মাটি চোরেরা নয়, মাটি খুঁড়ছে আশপাশেরই কিছু লোকজন। |
এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দিনের আলোতেই টাওয়ারের তলার মাটি খোঁড়া হচ্ছে। বড়দের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে খুদেরাও। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, এর ফলে টাওয়ারের নিচে গর্ত তৈরি হচ্ছে। এ ভাবে চললে মোটা বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের ভার সহ্য করতে না পেরে ধসে পড়তে পারে টাওয়ারটি। ১৩২ কিলো ভোল্টের পরিবাহী তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুনও লেগে যেতে পারে বলে মনে করছেন আশপাশের মানুষজন। এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা বসু, বন্দনা রুইদাস, বন্ধুসুন্দর সাহাদের কথায়, “ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারে যে কোনও সময়।” তাঁরা আরও জানান, এক বার তার ও টাওয়ার ভেঙে পড়লে তা মেরামতি ও নতুন করে টাওয়ার প্রতিস্থাপন বাবদ বেশ কিছুটা সময় লাগবে। সেই সময়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। এ ব্যাপারে অবিলম্বে ডিপিএল কর্তৃপক্ষকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
ডিপিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার একাধিক টাওয়ারের তলায় আগেও মাটি খুঁড়ে নেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে সংস্থার তরফে মাটি ও ছাই দিয়ে গর্ত ভরাট করা হয়। ফের যে মাটি খোঁড়া শুরু হয়েছে, তা তাঁদের জানা নেই বলে জানান ডিপিএল কর্তৃপক্ষ। সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, “তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না হলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।” দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁর আশ্বাস। কোকওভেন থানার পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। তা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |