মারানের পাশেই আছি: করুণানিধি
তিনি মারান ভাইদের পাশেই আছেন। আজ এ কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ডিএমকে প্রধান করুণানিধি।
করুণানিধি জানিয়েছেন, টেলিকমমন্ত্রী থাকার সময়ে দয়ানিধি তাঁর পদের অপব্যবহার করেছিলেন কি না দেখতে সিবিআই যতই তল্লাশি চালাক না কেন, দল তাঁর পাশেই আছে। মেয়ের স্বার্থেই মারান ভাইদের ব্যাপারে তিনি নীরব বলে যে কথা রটানো হচ্ছে তা ডিএমকে-র বিরুদ্ধে এক ‘বিরাট চক্রান্ত’ বলে মনে করছেন করুণানিধি।
দুই নাতি দয়ানিধি ও কলানিধি সিবিআইয়ের তল্লাশির মুখে পড়ার পর ডিএমকে প্রধান করুণানিধির অবস্থান কী দাঁড়াবে তা নিয়ে গত কালই জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। রটে গিয়েছিল জেলে বন্দি কন্যা কানিমোঝির জামিনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ে নীরব থাকবেন করুণানিধি। সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতেই করুণানিধি তড়িঘড়ি মারানের পাশে থাকার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে। চেন্নাইয়ে করুণানিধি বলেন, “আমার কাছে কানিমোঝি ও মারান ভাইয়েরা সমান গুরুত্বপূর্ণ। মেয়ের স্বার্থে মারান ভাইদের ব্যাপারে আমি নীরব থাকছি বলে যে কথা রটানো হচ্ছে তা আসলে ডিএমকে দলের ঐক্য নষ্ট করার এক বিরাট চক্রান্ত।”
পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এর আগে কোনও সমস্যাতেই আইনি সমাধানের মুখোমুখি হতে তিনি পিছপা হননি। এ ক্ষেত্রেও বিচার ব্যবস্থার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। সত্যের জয় হবে বলেই তিনি মনে করেন। এয়ারসেলের প্রাক্তন কর্ণধার সি শিবশঙ্করন অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মালয়েশিয়ার সংস্থা ম্যাক্সিসের কাছে তাঁর সংস্থা বেচে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন এবং তার বিনিময়ে ম্যাক্সিস মারানদের চ্যানেল সান টিভিতে প্রচুর লগ্নি করে অ্যাস্ট্রো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
গত কালই দয়ানিধি মারান ও তাঁর দাদা কলানিধি মারানের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। চেন্নাই ও দিল্লিতে দুই ভাইয়ের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়। কিন্তু এত সবের পরেও ডিএমকে সুপ্রিমো নীরব থাকাতেই নানান প্রশ্ন ওঠে। করুণানিধির ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, করুণানিধি মারান ভাইদের পাশে আছেন বলে একটা ঐক্যের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন ঠিকই, কিন্তু ডিএমকে দলের ভিতরে পরিস্থিতি তাতে বদলায়নি। মারান ভাইয়েরা এখনও দলে কোণঠাসাই রয়েছেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা অবশ্য, মারান ভাইদের বাড়ি ও অফিসে সিবিআই তল্লাশির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি। তাঁর মতে “গোটাটাই লোকের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। চার বছর আগে যে টাকার লেনদেন হয়েছে তা কি কেউ এখনও বাড়ি কিংবা অফিসে লুকিয়ে রাখে নাকি?”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.