সহকর্মীকে মারধর, জেলে গেলেন রক্ষী |
বন্দিদের পাহারা দেওয়া এবং সামলানো যাঁর দায়িত্ব, তিনিই এখন জেলে। আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে অন্য দুষ্কৃতীদের সঙ্গে এখন কাটাতে হচ্ছে ওই রক্ষীকেও। ওই কারারক্ষীর নাম সুকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রেসিডেন্সি জেলের কর্মী এবং তৃণমূল সমর্থিত বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতির জোনাল কমিটির সম্পাদক। সুকুমারবাবু থাকেন হুগলি জেলের কর্মী আবাসনে। গত রবিবার তাঁর মোটরবাইক রাখাকে কেন্দ্র করে সেখানে অশান্তি বাধে। অভিযোগ, তাতে ওই আবাসনের আর এক বাসিন্দা, প্রেসিডেন্সি জেলের রক্ষী সঞ্জীব সাঁধুখাকে পিটিয়ে জখম করেছেন সুকুমারবাবু। পুলিশ সোমবার সুকুমারবাবুকে গ্রেফতার করেছে। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জন্য জেলে পাঠিয়েছে। বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিজন ভট্টাচার্য অবশ্য বিষয়টি বিরোধী সংগঠনের চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন।
|
ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগ উঠল। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে জখম হলেন দোকানমালিক। সোমবার, গড়িয়া স্টেশন রোডে। পুলিশ জানায়, দোকানমালিক লক্ষ্মণ পোদ্দার জানান, সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করার সময়ে ৬-৭ জন দুষ্কৃতী তাঁর দোকানে হামলা করে। ক্যাশবাক্স লুঠের চেষ্টায় বাধা দিতে গেলে লক্ষ্মণবাবুকে চপারের কোপ মারে দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় তাঁর স্ত্রী অনুশ্রীকেও। গুরুতর জখম অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি লক্ষ্মণবাবু। রাতেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের অনুমান, ঘটনার পিছনে স্থানীয় তোলাবাজরা রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, “অপরাধীদের ধরতে এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হবে।”
|
মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল নারায়ণ শ্রেষ্ঠা (২১) এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় এন এস সি বোস রোডে মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাত ১১টা নাগাদ একটি মোটরসাইকেলে ওই দুই যুবক রানিকুঠির দিকে যাচ্ছিলেন। আজাদগড় এলাকায় মালঞ্চ সিনেমা হলের কাছে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। ছিটকে রাস্তায় পড়েন দুই সওয়ারি। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বাইক-আরোহী দু’জন মদ্যপ ছিলেন। রাস্তার ওই জায়গায় মেরামতির কাজ চলছে। সেখানেই মোটরসাইকেলটি উলটে যায়। রাত পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। দেহগুলি ময়নাতদন্তে গিয়েছে।
|
ধৃতদের মুক্তির দাবিতে সোমবার রাতভর গরফা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানায়, ওই রাতে দক্ষিণ শহরতলির শহিদনগর এলাকার বাসিন্দাদের দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকার তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার পরেই ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন স্থানীয়েরা। সারা রাত চাপান-উতোরের পরে মঙ্গলবার ভোরে শর্তাধীন জামিনে ওই তিন জনকে মুক্তি দেয় পুলিশ। এর পরে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। |