আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ আবাসনের একটি ফ্ল্যাট। মঙ্গলবার দুপুর ১টা নাগাদ আবাসনের চার তলার ওই ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দমকলের ডিভিশনাল অফিসার তপন ঘোষ জানান, সিলিন্ডার লিক করেই আগুন লেগেছে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটটিতে থাকেন ঠাকুরপুকুর থানার প্রাক্তন আইসি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তাঁর স্ত্রী ও বাড়ির অন্যরা লক্ষ্মীপুজোর জন্য রান্না করছিলেন। আচমকাই চিৎকার শুনে থানার কর্মী ও আবাসনের অন্য বাসিন্দারা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন ঠাকুরপুকুর থানার বর্তমান ওসি প্রদীপকুমার দাম। তিনিও ছুটে যান। বার করে আনা হয় ওই পরিবারের সদস্যদের। অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকর্মী বলেন, “বারান্দার বাইরেও আগুনের শিখা বেরিয়ে আসে। প্রচণ্ড তাপও ছড়িয়ে পড়ে।” |
দিব্যেন্দুবাবুর স্ত্রী কেয়াদেবী বলেন, “রান্না করার সময়েই গ্যাসের গন্ধ বেরোচ্ছিল। তার পরে হঠাৎই আগুন লাগে।” ঘরে আরও কয়েকটি সিলিন্ডার ছিল। সেগুলি ফাটলে বড় বিপদ হত বলে জানান তিনি।
দমকল জানায়, ফ্ল্যাটটির অধিকাংশ ঘর ও আসবাব পুড়ে গিয়েছে। দেওয়াল পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছে। তাপে দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। গলে গিয়েছে প্লাস্টিকের টেবিল-চেয়ার। ফ্ল্যাটের বারান্দায় পোষা পাখিগুলি খাঁচার মধ্যেই পুড়ে মারা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘরগুলি বসবাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। তাই ওই পরিবারের জন্য আবাসনের দোতলায় নিজের ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়েছেন থানার ওসি প্রদীপবাবু।
দিব্যেন্দুবাবুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দমকলকর্মীরা জানান, পুজোর রান্নার জন্য ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়াও বাইরে থেকে একটি ছোট ওভেন এনেছিলেন দিব্যেন্দুবাবু। তার সঙ্গে লাগানো রেগুলেটরের যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই গ্যাস লিক করে আচমকা আগুন ধরে যায় বলে দমকলের অনুমান। |