ব্রিটেনে ধরা পড়ল ইকবাল মেনন ওরফে ‘ইকবাল মির্চি’। মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইকবাল ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এক সময়ে মাদক পাচারের ব্যবসা করত সে। মুম্বই বিস্ফোরণের পরই সে ফেরার হয়ে যায়। সিবিআই জানিয়েছে, ১৯৯৪ সাল থেকেই ইকবালের নামে ‘রেড কর্নার’ নোটিস ঝুলছে ইন্টারপোলে। অন্য এক অপরাধের ঘটনায় আজ তাকে গ্রেফতার করেছে লন্ডনের পুলিশ। জেরা চলছে। ইকবালকে ভারতে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে ব্রিটেনের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন সিবিআই কর্তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইকবালদের শুকনো লঙ্কার পারিবারিক ব্যবসা ছিল। সে জন্যই তাকে বন্ধুরা ‘ইকবাল মির্চি’ বলে ডাকত। প্রথম জীবনে চোরাচালানে যুক্ত ছিল ইকবাল। পরে মাদক পাচারে যুক্ত হয়। অপরাধ জগতে খুব দ্রুত উন্নতি করে সে। এক বার প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মাদক ইকবালের লোকজনের হাত থেকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কিন্তু ধরা যায়নি ইকবালকে। মাদক পাচারে আয় হওয়া টাকার বড় অংশটাই নির্মাণ সংস্থায় লগ্নি করত ইকবাল। ফেরার হওয়ার পর সে নিজের কারবার লন্ডন ও দুবাইয়ে সরিয়ে নিয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এর আগেও লন্ডন পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল ইকবাল। কিন্তু প্রত্যর্পণে রাজি হয়নি ব্রিটেন সরকার। কিন্তু পরে সে দেশের সরকারের হাতে ইকবালের বিরুদ্ধে প্রচুর তথ্য-প্রমাণ তুলে দিয়েছে সিবিআই। সে জন্যই আশা করা হচ্ছে এ বার ইকবালকে ভারতের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়ে যাবে ব্রিটেন।
|
ছিনতাই জাহাজ মুক্ত, আটক ১১ জলদস্যু |
সোমালিয়ার উপকূলের কাছে ছিনতাই হওয়া জাহাজকে আজ উদ্ধার করল মার্কিন ও ব্রিটিশ নৌবাহিনী। গত কাল সোমালিয়ার জলদস্যুরা ইতালির ওই পণ্যবাহী জাহাজটি ছিনতাই করেছিল। জাহাজটির ২৩ জন কর্মীর মধ্যে ছিলেন ৬ ভারতীয়। লিভারপুল থেকে ভিয়েতনাম যাওয়ার পথে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে সোমবার এম ভি মন্টিক্রিস্টো নামের ওই জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। ৬ ভারতীয় ছাড়াও জাহাজে ছিলেন ইতালির ৭ জন ও ইউক্রেনের ১০ জন। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন লোহার ছাঁট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ছিনতাইয়ের পর জল ও আকাশ পথে তল্লাশি শুরু হয়। মঙ্গলবার আমেরিকা ও ব্রিটেনের দু’টি যুদ্ধজাহাজ জলদস্যুদের খপ্পর থেকে ছিনতাই হওয়া জাহাজটি উদ্ধার করেছে। ১১ সোমালীয় জলদস্যুকে আটক করা হয়েছে। জাহাজটির মুক্ত হওয়ার ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে ইতালির বিদেশ মন্ত্রক।
|
বাংলাদেশে ধৃত তিন লস্কর জঙ্গি |
ঢাকা ও গাজিপুরে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। ধৃতরা হল লস্কর ই তইবার ক্বারি আব্দুর রহিম মাস্টার (৪৫) এবং জামাতুল মুজাহিদিনের কাওসার (২২) এবং আদম (২৩)। র্যাবের অতিরিক্ত মহা পরিচালক কর্নেল মজিবুর রহমান জানান, রহিম মাস্টারকে ধরা হয় ঢাকার ইসলামপুর থেকে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা ছাড়াও জাল নোটের কারবার করার অভিযোগ রয়েছে। গাজিপুরের নয়নপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় অন্য দুই জঙ্গি কাওসার এবং আদমকে। ২০০৫ সালের বাংলাদেশের সব জেলায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার আসামি তারা। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ছদ্মনামে আত্মগোপন করেছিল কাওসার ও আদম।
|
‘নোবেল-মিছিলে’ আহত ৪০ মহিলা |
ইয়েমেনের নোবেলজয়ী তাওয়াকুল কারমানের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আহত হলেন ৪০ জন মহিলা। সম্প্রতি তায়েজ শহরে কারমানের নোবেল জয়ের উদ্যাপনে মিছিল বার করেন সেখানকার মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের প্ররোচনায় খালি বোতল ও পাথর দিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় ৪০ জন মহিলা আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দেশের দীর্ঘদিনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকেই নোবেল কমিটি স্বীকৃতি জানিয়েছে বলে মনে করেছেন সদ্য নোবেলজয়ী তাওয়াকুল কারমান।
|
অওলাকি হত্যার প্রতিশোধের হুমকি |
জঙ্গিনেতা আনওয়ার আল-অওলাকির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া আল কায়দা। সিআইএ-র অভিযানে অওলাকির নিহত হওয়ার খবর স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি এর প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও ঘোষণা করল আল কায়দা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে সিআইএ-র অভিযানে অওলাকি ছাড়াও আরও ৩ জঙ্গির মৃত্যু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হত্যাকাণ্ডকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘বড় আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন। বিচারের মাধ্যমে অওলাকিকে দোষী সাব্যস্ত না করে আমেরিকার ‘খুন’ করার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আল কায়দা। |