বিদ্যুৎ পরিষেবা বেহাল চাঁচলে
র্ষদ কর্মীরা নন, মালদহের চাঁচলের বেশ কয়েকটি এলাকায় রাতে ট্রান্সফরমারের যান্ত্রিক ত্রুটি সারান স্থানীয় বাসিন্দারা। পর্ষদ কর্মীরা সবই জানেন। অদক্ষ লোকের হাতে ট্রান্সফরমার মেরামতির জেরে যে বড়মাপের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাও অজানা নয় তাঁদের। কিন্তু বাধা দেবে কে? এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাতে ১০টার পরে মালদহের চাঁচলে পর্যদের কর্মীদের দেখাই মেলে না। বাধ্য হয়েই তাঁদেরই হাত লাগাতে হয়। কোনও দিন তাতে কাজ হয়। কোনও দিন মেরামত করতে না-পারলে রাতভর অন্ধকারে কাটাতে হয়। গত রবিবারেরই ঘটনা। রাত ৯টা থেকে শুরু হয় লোডশেডিং। দেড় ঘন্টা বাদে বিদ্যুৎ এলেও দেখা গেল ৭ নম্বর ট্রান্সফরমারের যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন। এ ক্ষেত্রে বহরমপুরে টোল ফ্রি নম্বরে টেলিফোন করে অভিযোগ জানাতে হয়। রাত ১০টার পর মালদহের যেখানে চাঁচল বিদ্যুৎ পর্ষদের অফিসে পরিষেবা মেলে না সেখানে টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করার পরিশ্রম না-করে গভীর রাতে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দা ট্রান্সফরমারের ত্রুটি সারিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। কেবল চাঁচল কলেজ রোডের ৭ নম্বর ট্রান্সফরমারই নয়, চাঁচলের বাজার এলাকা, রায়পাড়া, থানাপাড়া-সহ ট্রান্সফরমার এমনই বেহাল হয়ে রয়েছে। ওই সমস্যা এক দুদিন বা কয়েক মাসেরও নয়। গত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সমস্যায় ভুগছেন এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক। গ্রাহক সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়লেও পরিকাঠামো তথা ট্রান্সফরমারগুলির ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বাড়ানো হয়নি। নতুন ট্রান্সফরমারও দেওয়া হয়নি। ফলে অতিরিক্ত চাপ নিতে না পারায় কখনও ফিউজ উড়ে গিয়ে, কখনও নানা যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিপর্যয় চলছেই। সমস্যা মেটাতে পর্ষদ কর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আবেদন-নিবেদনের পাশাপাশি ভুরিভুরি অভিযোগ জানানোর পরেও সমস্যা না-মেটায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিপর্যস্ত গ্রাহকরা। রাজ্যে পরিবর্তন ঘটলেও চাঁচলের পর্ষদ কর্মীদের একাংশ যে পুরনো মেজাজেই তা জানিয়ে দফতরের মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভূক্তভোগী বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে পর্ষদের মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপক মণ্ডলের বক্তব্য, “সমস্যার কথা আমাকে কেউ জানায়নি। চাঁচলে গত এক বছরে ৩টি নতুন ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তো ট্রান্সফরমারগুলির ক্ষমতার তুলনায় গ্রাহকের সংখ্যা কম বলেই জানি। ৪টি এলাকায় কেন সমস্যা হচ্ছে তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.