শক্তিপুজোয় চাঁদার জুলুম
কালীপুজোর মুখে উত্তর দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন এলাকার রাজ্যে সড়ক ও জাতীয় সড়কে বাস থামিয়ে বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জোর করে চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন পুজো কমিটির বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে উত্তর দিনাজপুর বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তার পরেও চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বাস মালিকদের অভিযোগ, প্রতি বছর বিভিন্ন পুজো উদোক্তাদের আর্জির ভিত্তিতে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে চাঁদা দেওয়া হয়। এ বছর উদ্যোক্তারা নিয়ম মানছেন না। রাস্তায় বাস আটকে জোর করে চাঁদা আদায় চলছে। চালক, কন্ডাক্টর এমনকী যাত্রীদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এমন অভিযোগ পেয়ে কালিয়াগঞ্জের এক দুর্গা পুজো কমিটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাও চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধ হয়নি বলে অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান না হলে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অনিদিষ্টকালের জন্য জেলা জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ চাঁদা তোলা নিয়ে জুলুমবাজির বরদাস্ত করবে না। বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জেলার বিভিন্ন এলাকার জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। যারা বাস আটকে জোর করে চাঁদা আদায় করবেন তাদের দেখামাত্রই ধরা হবে।” অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রায়গঞ্জ-কালিয়াগঞ্জ-কুনোর রুটের কালিয়াগঞ্জ থানার সাহেবঘাটা, ইটাহার থানার কুমলাই ও রায়গঞ্জ থানার গোয়ালতোড় এলাকায় বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরা প্রতিদিনই বাস আটকে চালক ও কন্ডাক্টরদের কাছ থেকে জোর করে ১৫০-৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করছেন। চালক ও কন্ডাক্টররা অ্যাসোসিয়েশন থেকে চাঁদা নেওয়ার কথা জানালে পুজো কমিটির সদস্যরা হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ। যাত্রীরা এই নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাদেরও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত রাস্তায় বাস আটকে রাখা হচ্ছে। ফলে যানজটের পাশাপাশি রাস্তায় আটকে পড়ে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। ইটাহারের বাঙার চেকপোস্ট থেকে করণদিঘি থানার দোমোহনা এলাকা পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরা একই কায়দায় মালদহ-শিলিগুড়ি রুটের বাস আটকে চাঁদা আদায় করছেন বলে অভিযোগ। জেলা বাস ও মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক চন্দ বলেন, “বিভিন্ন থানায় জানানো হলেও চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধ হয়নি। চালক-কন্ডাক্টররা ভয়ে বাস চালাতে চাইছেন না। বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি। বাস আটকে চাঁদার জুলুমবাজি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জেলা জুড়ে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।” অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কুশল বসু বলেন, “আমরা সব পুজো কমিটিকেই চাঁদা দিতে প্রস্তুত। তবে ক্লাবগুলোকে অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন জানাতে হবে। বাস আটকে যাত্রীদের অসুবিধা করে চাঁদার জুলুম সহ্য করা হবে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.