আসানসোল ও নদিয়ার হাঁসখালিতে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ এবং গুলিতে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি।
সোমবার মহাকরণে রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। ডিজি (সিআইডি) ভি ভি থাম্বি-ও বলেন, “দু’টি ঘটনাতেই সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে।”
সিআইডি তদন্তভার নিলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য দলের হাইকম্যান্ডের কাছে এ দিন জানিয়েছেন, বগুলার ঘটনায় তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক রাহুল গাঁধীর কাছে চিঠি দিয়েছেন প্রদীপবাবু। তার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক আহমেদ পটেল ও পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সম্পাদক শাকিল আহমেদকে।
পুলিশের গুলিচালনার প্রতিবাদে এ দিন রাজ্য জুড়ে ‘কালা দিবস’ পালন করে কংগ্রেস । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ঘটনায় রাজ্য সরকার অভিযুক্ত তিন পুলিশকে সাসপেন্ড করেছে। সনিয়া-রাহুলের কাছে প্রদীপবাবু জানান, তিন পুলিশকে সাসপেন্ড করাটাই যথেষ্ট নয়। তাঁরা ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন।
সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশন) কে জয়রামণ বলেন, “ওই দুই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কী করেছে, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।” |
বগুলা কাণ্ডের প্রতিবাদে বহরমপুরে কংগ্রেসের মিছিল। নিজস্ব চিত্র। |
বৃহস্পতিবার, দশমীর রাতে আসানসোলের হাটন রোডে শোভাযাত্রায় গণ্ডগোল থামাতে যায় পুলিশ। গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিশ অবশ্য শূন্যে গুলিচালনার বেশি কিছু স্বীকার করেনি। শুক্রবার রাতে বগুলায় শোভাযাত্রায় পুলিশ এক কংগ্রেস নেতার গাড়ি আটকালে বচসা বাধে। নেতা গাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
যার জেরে কংগ্রেস কর্মীরা পথ অবরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের তর্কাতর্কির সময়ে হঠাৎই গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই মারা যান এক স্থানীয় কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। পুলিশের দাবি, কিছু দুষ্কৃতী তাদের বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করায় গুলি ছুটে গিয়েছে। নদিয়ার বিধায়ক তথা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসও
একই দাবি করেন। |