টুকরো খবর
জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ হিঙ্গলগঞ্জে
পানীয় জল না পাওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী। সোমবার ঘটনাটি ঘটে হিঙ্গলগঞ্জের উত্তর বোলতলা গ্রামে। রাস্তা অবরোধের জেরে বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয় হাসনাবাদ ও লেবুখালির মধ্যে। বিডিও ইন্দ্রকুমার নস্কর ঘটনাস্থলে গেলে তিনিও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাত্র একটি জলের কলের উপর ভরসা করেন বোলতলা, ট্যাংরা, বরুণহাট, উত্তর মামুদপুর, সুতিরআটি, মঙ্গলআটি গ্রামের ১০-১৫ হাজার মানুষ। দিনে দু’ঘন্টা করে জল দেওয়ার কথা থাকলেও সারাদিনে আধ ঘন্টার বেশি জল থাকে না। কাঞ্চন পাত্র, মণিকা মণ্ডল, তমালিকা দাস বলেন, “রাত থাকতে খাবার নিয়ে জলের জন্য লাইন দিতে হয়। দুপুর গড়িয়ে গেলেও জল পাওয়া যায় না।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সান্ডেলবিল এলাকার পাম্প হাউস থেকে জল সরবরাহ হত। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে মাটির তলায় পাইপ ফুটো হয়ে গিয়েছে। বেআইনি ভাবে অনেকে জল নিয়ে নিচ্ছে। তাই দূরের গ্রামে জল ঠিকমতো যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাম্পগুলি ১৪ ঘন্টা চালানোর কথা থাকলেও মাত্র ৭-৮ ঘন্টা চালানো হয়। তাই দূরবর্তী গ্রামে জল পৌঁছয় না। বাধ্য হয়ে ২টাকা কলসি দরে জল কিনে খেতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা। বিডিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে দুপুর ২টো নাগাদ অবরোধ ওঠে।

রাস্তা সংস্কারের দাবি
দ্রুত রাস্তা সারানোর দাবিতে সোমবার বসিরহাটের ইটিন্ডা এবং এস এন মজুমদার রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুজোর মুখে ইট ফেলে রাস্তার গর্ত ভরাট করা হয়। গাড়ি চলাচল করায় সেই ইট গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। ধুলোয় ভরে যাচ্ছে বাড়ি, দোকান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে ওই দুই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ নাগরিক কমিটির সদস্যেরা বেঞ্চ পেতে এবং বাঁশ দিয়ে এস এন মজুমদার রোড আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। ঘণ্টা দুয়েক বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আপাতত রাস্তা থেকে ধুলো ওড়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হোক। একই দাবিতে দুপুর ১২টা নাগাদ বেলতলায় ইটিন্ডা রাস্তা অবরোধ করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। পুলিশ জানায়, দ্রুত রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে বলা হয়েছে। আপাতত পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জল ছিটিয়ে ধুলো ওড়া বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে।

ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু বসিরহাটে
মামারবাড়ি বেড়াতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর। বসিরহাটের খোলাপোতার কাঁটাবাগান এলাকার বাসিন্দা সুপর্ণা নাথ (১১) নামে ওই ছাত্রীটি নবমীর দিন মায়ের সঙ্গে বসিরহাটের দালালপাড়ায় মামারবাড়ি এসেছিল। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ মামারবাড়ি সংলগ্ন পুকুরে সে স্নান করতে নামে। সেই সময়ে আরও কয়েকটি শিশু পুকুরে খেলছিল। তাদের সঙ্গে মেতে ওঠে সুপর্ণাও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খেলতে গিয়েই আচমকা সে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

দুষ্কৃতী ধৃত
খুনের অভিযোগের অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতী এবং তার দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে হাবরার গণদীপায়ণ এলাকা থেকে আনন্দ হালদার নামে ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। পুলিশ জানায়, ২০০৭ সালের জুলাই মাসে ওই এলাকারই বাসিন্দা তাপস কর্মকারকে খুন করা হয়। আনন্দ তাঁকে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই আনন্দ পলাতক ছিল। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে তাপসবাবুর ভাইকে আনন্দ ও তার দলবল ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ।

দুষ্কৃতী গ্রেফতার
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতিতে জড়িত সন্দেহে রবিবার গ্রেফতার হল এক যুবক। ধৃত রমজান লস্করের (২৪) বাড়ি র মাধবপুরে। সেখানেই সে ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে মোটরবাইক-আরোহী ৭ দুষ্কৃতী সোনারপুরের ওই ব্যাঙ্ক থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশের দাবি, রমজানের কাছে সাড়ে ১০ হাজার টাকা, ১টি রিভলভার, ৪টি কার্তুজ ও ১টি বাইক মিলেছে। সোমবার বারুইপুর আদালত রমজানকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত দেয়।

বাস থেকে পড়ে মৃত্যু
চলন্ত বাস থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সোমবার, ডায়মন্ড হারবার রোডে। মৃত মানস কুণ্ডুর (৩৬) বাড়ি হরিদেবপুরে। পুলিশ জানায়, সকালে জোকা ট্রাম-ডিপোর সামনে বাস থেকে পড়ে গুরুতর জখম হন মানসবাবু। স্থানীয় নার্সিংহোমে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাস-সহ চালক পলাতক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.