নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
অক্টোবর মাসের দশ দিন পেরিয়ে গেলেও বর্ধিত মজুরির টাকা হাতে পাননি অরঙ্গাবাদ, ধুলিয়ানের বিড়ি শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে ক্ষোভেরও সঞ্চার ঘটেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিড়ি মুন্সিরা পুরনো হারে ৫৫ টাকা করে মজুরি দিতে চেয়েছিলেন। শ্রমিকেরা তা নিতে অস্বীকার করেন। রবিবার বিড়ি মালিক সমিতির অফিসের সামনে এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখান যুব কংগ্রেস। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সংগঠনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রতি হাজার বিড়ি বাঁধাইয়ে মজুরি বেড়ে ৭৫ টাকা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে তা কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করে দু’পক্ষই। কিন্তু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ কেটে গেলেও নয়া হারে মজুরি মেলেনি।
সিটুর বিড়ি মজদুর সংগঠনের জেলা সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সরকার বলেন, “মজুরি পেতে দেরি হয়েছে ঠিকই কিন্তু মজুরি যে ৭৫ টাকা করেই হবে, তা নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই। এই িনেয় মালিক সংগঠনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই বর্ধিত হারেই মজুরি পাবেন শ্রমিকেরা।” আইএনটিইউসি’র সম্পাদক বাদশার আলি বলেন, “কিছু বিড়ি মুন্সি পুরনো হারে মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা স্বাভাবিক কারণেই মজুরেরা মানতে চাননি। তা থেকেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। কিন্তু কোনও শ্রমিককেই ৭৫ টাকার কম হারে মজুরি দেওয়া হবে না।”
বিড়ি মালিক সংগঠনের অন্যতম সদস্য জাকির হোসেন বলেন, “২০ টাকা করে বাড়তি মজুরি দেওয়ার যে চুক্তি হয়েছে, তা-ই মানা হবে। পুজোর কয়েকদিন কারখানা বন্ধ থাকায় সমস্যা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই সমস্ত শ্রমিককে ৭৫ টাকা হারেই মজুরি দেওয়া হবে।” |