|
|
|
|
ছুটিতে প্রশিক্ষণে আপত্তি, বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পুজোর ছুটিতে ভোটের প্রশিক্ষণ নিতে আপত্তি প্রাথমিক শিক্ষকদের। তাই পুজোর পরে প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়ে বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন কোলাঘাট ব্লকের প্রাথমিক শিক্ষকেরা। অভিযোগ, বিডিও তাঁদের কথা না শুনে দুর্ব্যবহার করেন। এরপরেই সোমবার সকালে বিক্ষোভ দেখান বিডিও অফিসে ভোটের প্রশিক্ষণ নিতে আসা প্রাথমিক শিক্ষকেরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষে পুলিশে খবর দেন কোলাঘাটের বিডিও সুদীপ্ত চক্রবর্তী। বিক্ষোভের খবর পেয়ে কোলাঘাট বিডিও অফিসে যান তমলুকের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়। মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনার পর প্রশিক্ষণ নিতে রাজি হন শিক্ষকেরা। বেলা দেড়টা নাগাদ শুরু হয় প্রশিক্ষণ।
সুদীপ্তবাবু অবশ্য দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষকেরা এ দিন যে ভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছিল। তাই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।”
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান গোপাল সাহু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে সারা রাজ্যেই ভোটার তালিকার কাজ হচ্ছে। কিছু শিক্ষকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন শিক্ষকেরা বিক্ষোভ করল খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা নবীকরণের জন্য ১২ অক্টোবর-১ নভেম্বর প্রতিটি নির্বাচনী বুথে ‘ডেজিগনেটেড অফিসার’ নিয়োগ করা হবে। এই কাজে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ করেছে জেলা নির্বাচন দফতর ও প্রশাসন। ওই কাজ সুষ্ঠু ভাবে করতে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এক জন করে প্রাথমিক শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার কোলাঘাট ব্লকে ছিল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ দিন ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় দু’শো প্রাথমিক শিক্ষক ব্লক প্রশাসনিক অফিসে প্রশিক্ষণে যোগ দিতে এসেছিলেন। বেলা ১১টা থেকে প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার আগে শিক্ষকেরা ফের একই দাবি জানিয়ে বিডিও’র দ্বারস্থ হন।
প্রাথমিক শিক্ষক সরোজ বেরা বলেন, “দাবি জানাতে গেলে বিডিও আমাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করার ভয় দেখান।” এরপরেই বিডিও’র বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে শিক্ষকেরা বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এ দিন প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষকদের একাংশ বিক্ষোভের সময় সভাঘরের চেয়ার উল্টে ফেলে দিচ্ছিল। যে ভাবে বিক্ষোভ চলছিল তাতে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল।” |
|
|
|
|
|