|
|
|
|
দাসপুরে থিমের লক্ষ্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাসপুর |
দুর্গাপুজোর ঢঙেই এ বার দাসপুরে থিমের লক্ষ্মীপুজোর রমরমা। কোথাও কেদারনাথের মন্দিরে আদলে মণ্ডপ তো কোথাও বৃন্দাবনের পাগলা বাবার মন্দির। কোথাও আবার চন্দননগরের আলোয় সব্জির চারা রোপণ থেকে ফুল তোলার দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সব্জি প্রধান এলাকা বলে পরিচিত দাসপুর। কৃষিতে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ফি বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেন বিভিন্ন বাজার কমিটি। দাসপুর থানা এলাকায় মোট ২৬টির মতো সবর্জনীন লক্ষ্মীপুজো হয়। তার মধ্যে বড় বাজেটের পুজো হয় ১০-১২টি। পুজো উপলক্ষে মেলা বসে। যাত্রাপালাও হয়। এক কথায় সব কাজ ভুলে লক্ষ্মীপুজোয় মেতে ওঠেন দাসপুরের মানুষ। এ বার দুর্গাপুজোর মতো লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপেও থিমের ছড়াছড়ি। পুরনো বড় বাজেটের পুজোগুলি হয় দাসপুরের সোনামুই, সাগরপুর, জগন্নাথপুর, খুকুড়দহ, গৌরা প্রভৃতি জায়গায়। |
|
কেদারনাথ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ দাসপুরের সোনামুইয়ে। ছবি সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
সোনামুই হাট সবর্জনীন পুজোকমিটি এ বার কেদারনাথের মন্দির আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছেন। এ বার ৫৫তম বর্ষ। পুজোকমিটির সম্পাদক নিশিকান্ত দাস বলেন, “পুজো উপলক্ষে সাত দিনের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। যাত্রা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকছে।” অন্য দিকে এ বার হীরকজয়ন্তী বর্ষে সাগরপুরে পল্লি উন্নয়ন সমিতি পুরনো রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ বানিয়েছে। রং-বাহারি আলোয় চাষবাসের বিভিন্ন খুঁটিনাটি পদ্ধতি থেকে বাড়িতে ফসল তোলার দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুজোকমিটির সম্পাদক বলরাম হাইত জানান, ৮ দিনের মেলা বসছে। এ বার খুকুড়দহ লক্ষ্মী বাজার সবর্জনীন পুজোকমিটির ৫২তম বর্ষ। প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ করে বৃন্দাবনের পাগলা বাবার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। এখানেও বসছে মেলা। পুজোকমিটির পক্ষে শক্তি দাস বলেন, “৫১ বছর আগে কৃষিতে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পুজো শুরু করা হয়েছিল। আজও তা চলে আসছে।” জগন্নাথপুর, গোপীগঞ্জ, খুকুড়দহ, জানাপাড়ার পুজোকমিটিগুলিও এলাহি আয়োজন করেছে। |
|
|
|
|
|