|
|
|
|
চাঁদার প্রতিবাদ বাসমালিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বাস-মালিকদের বিরোধ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এ বার শ্রমিক সংগঠনগুলির সদস্য চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে। এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড ও দিঘা মোড়ে আইএনটিইউসি, আইএনটিটিইউসি ও সিটু প্রভাবিত সংগঠনগুলি জোর করে সদস্য চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ। বাসমালিকদের বক্তব্য, কর্মীদের চাঁদা হলেও তার একটা অংশ দিতে হয় তাঁদেরই। অনেক সময় আবার কর্মীরা গোটা চাঁদার টাকাটাই বাসমালিকের কাছ থেকে নেন। এতে ক্ষতি বাড়ে। অবিলম্বে এ সব বন্ধ না হলে ১৮ অক্টোবর থেকে এগরা মহকুমায় বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া বলে হুমকি দিয়েছেন বাসমালিকেরা। রবিবার এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে বাসমালিকদের কার্যালয়ে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগরার মহকুমাশাসক, মহকুমা পুলিশ অফিসার, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছেও চাঁদা তোলা বন্ধে স্মারকলিপি দেন বাসমালিকেরা। |
|
দুই শ্রমিক সংগঠনের চাঁদার রসিদ। নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে, বাসমালিকদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ শ্রমিক সংগঠনগুলি। আইএনটিইউসি প্রভাবিত এগরা মহকুমা মোটর পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি চন্দ্রশেখর রায় বলেন, ‘‘সংগঠন চালানোর জন্য আমরা চাঁদা আদায় করি মাত্র। জোর-জুলুমের প্রশ্নই ওঠে না। শ্রমিকেরা চাঁদা দিতে না চাইলে আমরা বিবাদে যাই না। শ্রমিকরা আমাদের পক্ষে। মালিকেরা বাস চালাবেনই বা কাদের নিয়ে?” আবার আইএনটিইউসি-রই সড়ক পরিবহণ শ্রমিক কংগ্রেস-এর সভাপতি সাধন উত্থাসনী বলেন, “বাস মালিক অ্যাসোসিয়েশনগুলি অবৈধ ভাবে আরও অনেক বেশি টাকা তোলে। প্রশাসনকে তা বন্ধ করতে বলে আমরাও স্মারকলিপি দেব।” সিটু প্রভাবিত শ্রমিক ইউনিয়নের এগরা মহকুমা সভাপতি সুব্রত পণ্ডার যুক্তি, “তিনটি সংগঠন চাঁদা তোলার পরে আমরা শুরু করেছি।” জোরজুলুমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক বীরেন নায়েকও। এগরার মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “দাবি-অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উভয়পক্ষকে ডেকে আলোচনায় বসা যেতে পারে প্রয়োজনে।”
ডিএমকে স্মারকলিপি। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বেঙ্গল স্মল ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল। ক্ষুদ্র পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা, নানা রকম চাঁদার জুলুম বন্ধ করা-সহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়। |
|
|
|
|
|