আই লিগ অভিযানের সপ্তাহ দু’য়েক আগে মোহন-শিবিরে ঢুকে পড়লেন জেসিটি অধিনায়ক দলজিৎ সিংহ। কিন্তু রক্ষণের এমন বড়সড় স্তম্ভকে পেয়েও মন উঠছে না স্টিভ ডার্বির।
রক্ষণের অন্যতম ভরসা আনোয়ারের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। সঙ্গে আবার জুড়েছে পেটের গণ্ডগোল। সাহেব কোচের ভাষায় ‘ডেলহি বেলি’। এই অবস্থায়, দলজিৎকে হাতে পেলে যে কোনও কোচেরই মুখে হাসি ফোটার কথা। দীর্ঘ দিন জেসিটির রক্ষণ সামলেছেন দলজিত। ভাইচুং, বিজয়নদের সঙ্গে আই লিগের প্রথম চ্যাম্পিয়ন টিমের সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার দলজিতকে প্র্যাক্টিসে দেখার পর ডার্বি পরিষ্কার বলে দিলেন, “ওর খেলা আমি দেখিনি। ভাল ফুটবলার হতেই পারে। কিন্তু গত তিন চার মাস ফুটবলের মধ্যে ছিল না। তাই ম্যাচ ফিটনেস আসতে দেরি হবে।”
কর্তারাও সাত দিন সময় দিয়েছেন দলজিতকে। এই সময়ের মধ্যে যদি কোচের তাঁকে পছন্দ হয়, তা হলে তিনি থাকবেন। নইলে নয়। এত দিন মোহনবাগানের প্র্যাক্টিসে দেখা যায়নি জেসিটি অধিনায়ককে। টিম লিস্টেও নাম ছিল না। বাবা অসুস্থ ছিলেন বলে আসতে পারেননি। নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মোহন-কর্তাদের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে চুক্তিও সেরে রেখেছিল মোহনবাগান। তবে মাত্র সাত দিনের মধ্যে কতটা তাঁর উন্নতি হবে, সেটা এখন প্রশ্ন।
প্রশ্ন থাকছে হোসে ব্যারেটোর ফিটনেস নিয়েও। কাফ মাসলে চোট পাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্র্যাক্টিসে নামতে পারেননি ব্যারেটো। এ দিন কিছুটা ওয়ার্ম আপ আর হাল্কা স্ট্রেচিং করে উঠে পড়লেন। আই লিগে নামার আগে চারটে প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলছে মোহনবাগান। বুধবার সাদার্ন সমিতি এবং শনিবার এরিয়ানের বিরুদ্ধে। মাঝে দু’দিন ম্যাচ মোহনবাগান অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে। আই লিগের প্রথম ম্যাচে ব্যারেটোকে পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই ডার্বির। কিন্তু প্র্যাক্টিস ম্যাচে তিনি নামবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। ডার্বি বলছিলেন, “আসলে বয়স হলে সুস্থ হতে সময় লাগে। ওরও লাগছে। আশা করছি ও তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।” বরং ডার্বি কিছুটা হতাশ প্রয়াগ ইউনাইটেডকে প্র্যাক্টিস ম্যাচে না পেয়ে। বলছিলেন, “ওরা ডুরান্ড সেমিফাইনালে চলে গেল। নইলে ওদের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল।” |