সামনের বছরের ইউরো কাপে ওয়েন রুনিও ইংল্যান্ড টিমে অপরিহার্য নয়। অন্তত ইংল্যান্ড কোচ ফাবিও কাপেলোর দাবি সে রকমই। এমনকী সামনের মাসে স্পেনের বিরুদ্ধেও তাঁকে দলে রাখছেন না কাপেলো।
যোগ্যতা নির্ধারণের ম্যাচে মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখায় ২০১২ ইউরো কাপের প্রথম ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রুনির উপর। ফাবিও কাপেলো জানাচ্ছেন, দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই যে রুনি খেলতে শুরু করবে সে রকম ভাবার কোনও কারণ নেই। কাপেলোর বক্তব্য, “প্রথম ম্যাচ বা তার পরেরটার জন্য আমাকে রুনির বিকল্প ঠিক করে ফেলতে হবে। তারা যদি ভাল খেলে দেয়, তা হলে প্রথম এগারোয় ঢুকতে রুনিকে লড়াই করতেই হবে।” ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখায় রুনির উপর কোচ কাপেলো চূড়ান্ত খাপ্পা। যথেষ্ট বিরক্ত কাপেলোর হুঁশিয়ারি, “আমি দলের জন্য ফুটবলার বাছি। বড় নাম নয়।” |
কাপেলো তাঁর দাবি আরও জোরদার করতে বলেন, “অন্য কেউ ভাল খেললে তো রুনিকে বাইরে রাখতেই পারি। কোচ হিসাবে অনেক বারই আমি বড় ফুটবলারদের বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছি।” যে সব প্রস্তুতি ম্যাচ ইংল্যান্ড ইউরো শুরুর আগে খেলবে সেগুলোতেও রুনিকে প্রথম দলে রাখতে চান না কাপেলো। রুনির বিকল্প খোঁজার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি তাঁর। সামনের মাসে ওয়েম্বলিতে রয়েছে স্পেনের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেখানে রুনিকে একেবারেই খেলাতে চান না কাপেলো। “রুনি স্পেনের বিরুদ্ধে খেলবে না। নতুন প্লেয়ার বাছতে হবে আমাকে। নতুন স্টাইল এবং মুভমেন্টও দেখে নেব ওই ম্যাচে,” বলেন তিনি।
পরে যে সব প্র্যক্টিস ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড তাতেও বিরতির পরই দেখা যাবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তারকাকে। কোচের কথায়, “কখনও হাফটাইমের পর মাঠে নামবে রুনি। কিন্তু প্রথম থেকে নয়। এই ম্যাচেই ইউরোর প্রথম এগারো বেছে নেব।” তবে কাপেলো স্বীকার করে নেন, কখনও কখনও ফুটবলার নির্বাচনে তাঁর ভুল হয়ে যায়। যেমন হয়ে ছিল মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে নামার সময়েও। বলেন, “জার্মাইন ডিফো এবং ড্যানিয়েল স্টারিজ প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভাল খেলছিল। তা-ও ওদের বাইরে রেখেই নেমেছিলাম।” রুনিকে ছাড়াও তাঁর দল গড়তে যে খুব অসুবিধা হবে না স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। “অনেক ফরোয়ার্ড আমার হাতে আছে। ভাল ফরোয়ার্ড সবাই। আমাকে তাদের মধ্যে থেকে সেরা বেছে নিতে হবে।” |