হয় জেতো, নয় বিদায় নাও।
ভিয়েতনামের আই ডি সি কাপের শেষ ম্যাচে এটাই ট্রেভর মর্গ্যানের টিমের আপাতত থিম সং।
ব্রাজিলের মাতসুবারা দলটি মূলত জাপানিদের হাতে তৈরি। ফলে জাপানি-ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের ছড়াছড়ি। পারানা রাজ্যের কাম্বারা শহরের দলটি দু’টো ট্রফি জিতেছে। একটিতে রানার্স হয়েছে। টুর্নামেন্টের শেষ চারে যাওয়ার জন্য সেই মাতসুবারার বিরুদ্ধে আজ জিততেই হবে ওপারা-পেন-অভ্রদের। সোমবার সকালে প্রায় দু’ঘণ্টা অনুশীলনের পর মর্গ্যান বলেও দিয়েছেন, “জেতার জন্য যা করতে হয় করতে হবে।” কিন্তু জিতলেই কি ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে শেষ চারে যাওয়া সম্ভব? বিশেষ করে গ্রুপের পরের ম্যাচটিই যেখানে ভিয়েতনামের দুটো টিমের মধ্যে। |
ইস্টবেঙ্গল যে দলটির কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে সেই ভিয়েতনামের সায়গন জুয়ান থান যদি স্বদেশীয় এসএইচবি দ্য নাং-এর বিরুদ্ধে জিতে যায়, তা হলে ইস্টবেঙ্গল জিতলেই শেষ চারে চলে যাবে। কিন্তু যদি জুয়ান থান হেরে যায় তা হলেই সমস্যা তৈরি হবে। টুর্নামেন্টের যা নিয়ম তাতে, দু’দলের পয়েন্ট এক হয়ে গেলে দেখা হবে গোল পার্থক্য। তারপর দেখা হবে কে ক’টা গোল দিয়েছে। এসব অঙ্ক নিয়ে অবশ্য ভাবতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল কোচ। দলে চোট আঘাতের প্রচুর সমস্যা। অ্যালান গাও-রবিন সিংহের পর তিন নম্বর স্ট্রাইকার নেই। টোলগের কার্ড, বলজিতের চোট। ভিয়েতনামে লাল-হলুদের হোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, যে ভাবেই হোক বলজিৎকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখার চেষ্টা চলছে। রাজু গায়কোয়াড়কেও রাখা হবে হয়তো। তবে প্রথম একাদশে বড় কোনও পরিবর্তনের ঝুঁকি নিতে রাজি নন মর্গ্যান। দলের ম্যানেজার রজত গুহ ভিয়েতনাম থেকে ফোনে বললেন, “আমরা এখানে এত চোট আঘাত নিয়ে এসেছি যে দলে বড় পরিবর্তন করা কঠিন। দরকার ছিল টোলগের। কিন্তু ও তো খেলতেই পারছে না কার্ডের জন্য। কোচের অনুশীলন দেখে মনে হল আগের দিনের দলটাই হয়তো খেলবে।”
জিততেই হবে, এই ভাবনাটা যাতে ফুটবলারদের উপর চাপ সৃষ্টি না করে সেজন্যই দুপুরের পর সঞ্জু-নওবাদের ছুটি দিয়ে দিয়েছিলেন মর্গ্যান। তিনি নিজেও বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। অনেকেই যান শপিং করতে। প্রত্যেককেই লাল-হলুদ কোচ বলে দেন, ডিনারের আগে সবাইকে হোটেলে ফিরতে হবে। |