|
|
|
|
টানা লোডশেডিং, দুর্ভোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দফায়-দফায় লোডশেডিংয়ের জেরে দুর্ভোগ বাড়ছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দু’শহর-সহ গোটা পশ্চিম মেদিনীপুরেই। কখনও ৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরছে। কখনও আরও বেশি সময় পর। কখনও আবার বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই আবার লোডশেডিং! ফলে, বিরক্তির শেষ নেই। গত দু’দিন ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় সর্বত্রই এই পরিস্থিতি। কেন এই অবস্থা? বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বিদ্যুতের ঘাটতির জন্যই জেলা জুড়ে দফায় দফায় লোডশেডিং হচ্ছে। কয়লার জোগান হঠাৎ করে কমে যাওয়াতেই নাকি এই পরিস্থিতি।
বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুরের সার্কেল ম্যানেজার সনৎ বিশ্বাসের বক্তব্য, “এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু নেই। বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্যই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হওয়ার কথা।” সার্কেল ম্যানেজার এ কথা বললেও দফতরেরই একটি সূত্রের খবর, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সুযোগ কম। আরও ২-৩ দিন অন্তত এই অবস্থা চলবে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার জোগান বাড়লে এর পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে। |
 |
মোমবাতি জ্বালিয়েই চলছে প্রতিমার সাজ। মেদিনীপুরে ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা মোটের উপরে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পুজো শেষ হতে না-হতেই দুর্ভোগ। অনেকে দীর্ঘ পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরে এসে দেখছেন, লোডশেডিং! স্থানীয় কল-সেন্টারে যোগাযোগ করেও কখন বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরবে, সে সম্পর্কে সদুত্তর পাচ্ছেন না। পাবেনই বা কী করে! খোদ বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক বলছেন, “কখন লোডশেডিং হবে, আর কখন সংযোগ ফিরবে, তা আমরাই জানি না।”
সূত্রের খবর, এ জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় ৩৫০ মেগাওয়াট। তবে মাঝেমধ্যেই এর হেরফের হয়। আর এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াটেরও বেশি ঘাটতি চলছে। ফলে, লোডশেডিং ছাড়া উপায় নেই। গোটা রাজ্যে এই ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট। সাধারণত এমন পরিস্থিতি হলে শহরের থেকে গ্রামেই দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং হয়। কারণ, শহরে সরকারি-বেসরকারি বহু গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে। অনেক দফতরেই আবার জেনারেটর নেই। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হয়। কিন্তু এখন শহরেও একটানা দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং হচ্ছে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতির জেরে শহরে যেখানে প্রতিদিন ৪-৫ ঘন্টণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে, সেখানে গ্রামে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। তবে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, লোডশেডিং চলছে আরও বেশি সময় ধরে। রবিবার রাতে মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দুই শহর ও লাগোয়া এলাকায় দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেও একই অবস্থা। বিদ্যুৎ দফতরের এক অফিসারও সংশয়ের সুরে বলছেন, “শুনেছি, ২-৩ দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হবে। যত দ্রুত হয় ততই ভাল।” |
|
|
 |
|
|