টুকরো খবর |
উপ-নির্বাচনের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এই মুহূর্তে পুরপ্রধান অসুস্থ হয়ে ছুটিতে। এ সব ক্ষেত্রে উপপুরপ্রধানই পুরপ্রধানের কাজ সামলাবেন সেটাই দস্তুর। কিন্তু মেদিনীপুরের উপ-পুরপ্রধান এরশাদ আলির উপরে তার বাইরেও বর্তেছে আরও দায়িত্ব। দু’-দু’টি ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর কিছু দিন আগে মারা গিয়েছেন। ফলে ওই দুই ওয়ার্ড দেখভালের দায়িত্বও আপাতত উপ-পুরপ্রধানেরই। সেই সঙ্গে নিজের (১০ নং) এবং পুরপ্রধানের ওয়ার্ডের (২২ নং) কাজের তদারকি তো আছেই। ফলে যেন নাভিশ্বাস উঠছে এরশাদের। তিনিও চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব উপ-নির্বাচন হোক প্রয়াত দুই কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে। তাতে কাজের চাপ অন্তত কিছুটা কমে। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর প্রফুল্ল শাসমল এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ভানুরতন গুঁইন প্রয়াত হয়েছেন। এই দুই ওয়ার্ডেই উপ-নির্বাচনের দাবি উঠেছে। কাউন্সিলর না-থাকলে ওয়ার্ডের উন্নয়ন-কাজ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন নিকাশি-সাফাইয়ের তদারকিতে কিছুটা সমস্যা তো হয়ই। কাউন্সিলরের কাছে ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও আসেন। এখন সবটাই উপ-পুরপ্রধানকে সামলাতে হচ্ছে। এরশাদ আলি জানান, ইতিমধ্যেই পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে উপ-নির্বাচনের জন্য প্রশাসনিক স্তরে জানানো হয়েছে। মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায়ের বক্তব্য, “উপ-নির্বাচন করতেই হবে। তবে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই হয়তো পুরস্তরে উপ-নির্বাচনের ব্যাপার থাকতে পারে। এ সব ক্ষেত্রে একই সময়ে সব জায়গায় ভোটগ্রহণ হয়ে থাকে। আমরা রাজ্যস্তরে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছি। রাজ্য থেকে দিন ঘোষণা হলেই উপ-নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।” ২০০৮ সালের ১৮ জুন মেদিনীপুরের পুরবোর্ড গঠিত হয়েছিল। ২৪টির মধ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের দখলে গিয়েছিল ১৪টি ওয়ার্ড। বাম-বিকাশ পরিষদের দখলে ৯টি এবং একটিতে নির্দল। এখন জোট ও বামদু’তরফেরই একটি করে আসন কম। উপ-নির্বাচনের ফলাফলে বোর্ডের ভারসাম্য বদলানোর অবশ্য সম্ভাবনা নেই।
|
এনভিএফ নিয়োগে প্রথম পর্যায়েই গোয়ালতোড় ব্লক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে ১০ হাজার এনভিএফ কনস্টেবল নিয়োগের যে পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তার প্রথম পর্যায়েই অন্তর্ভুক্ত করা হল পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় ব্লককে। জঙ্গলমহলের মোট ২৩টি ব্লককে দু’টি পর্যায়ে ওই পরিকল্পনার আওতায় আনা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১১টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২টি ব্লক থেকে এনভিএফে নিয়োগ করা হবে বলে রাজ্য সরকার প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা জানান, গোয়ালতোড়কে ধরে প্রথম পর্যায়েই ১২টি ব্লকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চালানো হবে। পরবর্তী পর্যায়ে বাকি ১১টি ব্লকে কাজ হবে। নিয়োগ-প্রত্যাশীদের আবেদনপত্র জমা পড়তে শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহের শেষেই মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরে যাওয়ার কথা।
|
উদ্ধার চোরাই গয়না ও টাকা
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
গত এক সপ্তাহে খড়্গপুর শহরে দু’টি চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে কিছু খোওয়া যাওয়া সোনা-রুপোর গয়না ও লাখ দেড়েক টাকা। রবিবার রেলশহরে তল্লাশি চালিয়ে ৩ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরির ঘটনায় একটি চক্র জড়িত বলে দাবি পুলিশের। ওই চক্রের অন্যদেরও খোঁজ চলছে। সম্প্রতি, রেলশহরের নানা প্রান্তে চুরি-ছিনতাই বাড়ছে। ছুটি কাটাতে বা অন্য কাজে বাইরে গিয়ে বাড়ি ফিরে এসে বাসিন্দারা দেখছেন চুরি গিয়েছে জিনিস। গত দেড়-দু’মাসে এমন বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। গৃহস্থের অনুপস্থিতির সুযোগে দুষ্কৃতী-চক্র ‘অপারেশন’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সবক’টি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুজোর মধ্যেও শহরে চুরির ঘটনার পর বাড়তি তৎপরতায় দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকার বলেন, “চুরির ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও খোঁজ চলছে।”
|
বোমা ফেটে আহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেলশহরে বোমা ফেটে আহত হলেন এক যুবক। সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ বিকট-শব্দে শোরগোল পড়ে যায় গোলবাজারে। পথচলতি মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জখম হন সুরেশ মুদি। বাড়ি মালঞ্চে। তাঁকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি পরিত্যক্ত বেকারির পাশে আচমকাই বোমাটি ফাটে। সুরেশ কাছেই ছিলেন। এক সময়ে এই এলাকায় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা ছিল। ইদানীং তা কমলেও নেশাগ্রস্ত যুবকদের আনাগোনা রয়েইছে। কী ভাবে এখানে বোমা এল, কী ভাবেই বা ফাটল, ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশের ধারণা, বোমাটি পুরনো। কোনও ভাবে তাতে আগুন ধরে যায়। খড়্গপুর টাউন থানার আইসি কুশল মিত্র বলেন, “কী ভাবে ওই এলাকায় বোমা এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে উদ্বেগ বা আতঙ্কের কিছু নেই।”
|
স্মারকলিপি |
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বেঙ্গল স্মল ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল। ক্ষুদ্র পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা, কেন্দ্রের নিয়ম মেনে ছোট গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া, চাঁদার জুলুম বন্ধ-সহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়। সংগঠনের সম্পাদক শঙ্কর দাস বলেন, “জেলাশাসকের মাধ্যমে পরিবহণমন্ত্রীর কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। ” |
|