বন্যপ্রাণী হত্যার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি লাভপুর থানার বিষয়পুর গ্রামের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কুড়ি আগে ওই গ্রামে হায়না জাতীয় কোনও প্রাণী হানা দেয়। তার আক্রমণে গ্রামের বেশকয়েকটি গৃহপালিত পশু ও এক বালক জখম হয়েছে। অভিযোগ, গ্রামের কিছু বাসিন্দা ওই প্রাণীকে মেরে তার মাংস খেয়েছেন। পরে তার চামড়া বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে রাখেন। খবর পেয়ে বনদফতর যাঁর বাড়ির কাছাকাছি ওই চামড়া ঝোলানো ছিল তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। জেলা বনাধিকারিক কিশোর এস মানকর বলেন, “খবর পেয়ে আমরা গ্রামে গিয়ে দেখি একটি প্রাণীর চামড়া বাড়ির সামনে ঝোলানো আছে। তখন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়।” ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে পুলিশ সহদেব চৌধুরী, রাম চৌধুরী এবং তুলসী চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার তাঁদের বোলপুর আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবী সুদীপ সরকার জানান, বিচারক সহদেব ও রাম চৌধুরীকে ১৪ দিন জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তুলসী চৌধুরীকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিকে, অভিযুক্তদের ধরতে গিয়ে পুলিশ চার বছরের এক শিশুকে নিগ্রহ করেছে বলে ওই শিশুর মা সান্ত্বনা চৌধুরীর অভিযোগ। যদিও এ ব্যাপারে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। খুশি চৌধুরী নামে ওই শিশু সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে সান্ত্বনাদেবী বলেন, “রাতে আমার শ্বশুরকে ধরতে এসেছিল পুলিশ। সেই সময় বারান্দায় মেয়ে মশারির ভিতরে ঘুমোচ্ছিল। তখন পুলিশ তার পেটে লাথি মারে।” হাসপাতাল সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, ওই শিশুর শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল না। খিঁচুনি জাতীয় রোগে সে আক্রান্ত হয়েছিল। ওই রোগে রাতে তাকে ভর্তি করানো হয়। জেলা পুলিশ সুপার নিশাত পারভেজ বলেন, “পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। শিশু নিগ্রহের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।” |