টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি নিয়ে নির্দেশ দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। টু-জি কাণ্ডে চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনস’ (সিপিআইএল)।
টু-জি স্পেকট্রামের দাম স্থির করার বিষয়ে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার পাশাপাশি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে দাবি স্বামীর। চিদম্বরম চাইলে নিলামের মাধ্যমে স্পেকট্রাম বন্টনের ব্যবস্থা করতে পারতেন বলে মন্তব্য করা হয়েছিল অর্থ মন্ত্রকের একটি নোটেও। ওই নোটটি সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় আরও বিপাকে পড়েন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শীর্ষ আদালতে চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর তীব্র বিরোধিতা করে সিবিআই ও কেন্দ্র। আজ আদালতে আরও একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল। তিনি বলেন, “সিবিআইকে আরও তদন্তের আদেশ দেওয়ার মতো কোনও কারণ আমাদের জানা নেই।” কেন্দ্রের আইনজীবী পি পি রাও বলেন,“সব নথিপত্র পরীক্ষা করার পরে সিবিআই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মতকে একপেশে বলা যাবে না।” রাওয়ের বক্তব্য, স্পেকট্রামের দাম নির্ধারণ করার সময়ে এ রাজার সঙ্গে চিদম্বরমের সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। অর্থসচিবের মাধ্যমে চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে টেলিকম সংস্থাগুলির নামে ১২২টি ‘লেটার অফ ইনটেন্ট’ প্রকাশ করে টেলিকম দফতর। অর্থাৎ নিলাম না করেই স্পেকট্রাম বন্টনের পথে এগোয় তারা। তখনই চিদম্বরম পুরো বিষয়টি জানতে পারেন।
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে স্বামী ও সিপিআইএলের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, চিদম্বরম টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনের বিষয়ে সব জানতেন। অর্থ মন্ত্রকের অফিসাররা স্পেকট্রাম নিলাম করার উপর জোর দিলেও চিদম্বরম তাঁদের মতকে গুরুত্ব দেননি।
|