|
|
|
|
প্রেসিডেন্সিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য দু’-এক দিনেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ শূন্য। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারির আগে পরবর্তী উপাচার্য খোঁজার জন্য সার্চ কমিটি গড়া হচ্ছে না। তাই, আপাতত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁর নাম ঘোষণা করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার জানিয়েছেন।
সপ্তাহখানেক আগে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়েও অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছে রাজ্য। এ দিন ব্রাত্যবাবু জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তীকে এক বছরের জন্য বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্সির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ কত দিনের হবে, ব্রাত্যবাবু এ দিন সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নতুন উপাচার্য নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত অমিতা চট্টোপাধ্যায়কে কাজ চালিয়ে যেতে আচার্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু, যে শর্তে ওঁর সময়সীমা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল, তাতে উপাচার্য অসম্মতি জানান। ফলে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সির উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আর এক দফা আলোচনা করব। দু’এক দিনের মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের নাম জানানো হবে।” পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারি হলে সার্চ কমিটি গড়ে প্রেসিডেন্সির পরবর্তী উপাচার্য খোঁজা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফর সেরে ফিরলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স জারি হবে বলে আশা করছি। তার পরে সার্চ কমিটি গড়ে প্রেসিডেন্সির স্থায়ী উপাচার্য খোঁজা হবে।”
এ দিন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান সুগত বসু শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। পরে সুগতবাবু জানান, হার্ভাডর্র্ বিশ্ববিদ্যালয় ও ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (এমআইটি)-তে চলা ‘ইয়ং ইনভেস্টিগেটর্স মিট’-এ প্রবাসী ভারতীয়দের অনেকেই প্রেসিডেন্সিতে পড়াতে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্সির জন্য মেন্টর গ্রুপের সুপারিশ ও রিপোর্ট ইয়ং ইনভেস্টিগেটর্স মিট-এ যোগ দেওয়া প্রবাসী ভারতীয় তরুণ গবেষকদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রেসিডেন্সির এক প্রাক্তনীকেই এই দায়িত্বটা দিয়েছিলাম। আজ তিনি ই-মেলে জানান, বাঙালি তো বটেই, অনেক অবাঙালি ভারতীয় তরুণও প্রেসিডেন্সিতে পড়াতে ইচ্ছুক।”
কিন্তু, প্রেসিডেন্সির জন্য যে বিশেষ বেতন কাঠামো বা সুযোগ-সুবিধার সুপারিশ করেছে মেন্টর গ্রুপ, রাজ্য সরকার সে ব্যাপারে কী ভাবছে? ব্রাত্যবাবু বলেন, “প্রেসিডেন্সির শিক্ষক নিয়োগেও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মানতে হবে। তবে, তার বাইরেও আর কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।” |
|
|
|
|
|