ফের অশনি সঙ্কেত দেখছে গাড়ি শিল্প মহল। তাদের আশঙ্কা, চলতি অর্থ বর্ষে দেশে যাত্রী-গাড়ি বিক্রির বৃদ্ধির হার নেমে আসবে ২-৪ শতাংশে।
অর্থবর্ষের গোড়ায়, এপ্রিলে গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশেনের (সিয়াম) পূর্বাভাস ছিল, ২০১১-’১২ সালে যাত্রী-গাড়ি (প্যাসেঞ্জার কার) বিক্রি বৃদ্ধির হার থাকবে ১৬-১৮ শতাংশের মধ্যে। সুদের হার ও জ্বালানির দাম বাড়ার জেরে এর পর ধাক্কা খায় গাড়ি বিক্রি। জুলাইতে সিয়াম প্রথম বার পূর্বাভাস বদলে জানায়, তা কমে হবে ১০-১২%। আর সোমবার তারা দ্বিতীয় বার পূর্বাভাস সংশোধন করে জানাল, এই অর্থবর্ষে যাত্রী-গাড়ি বিক্রি বাড়বে মাত্র ২-৪ শতাংশের মধ্যে।
তাদের আশঙ্কার কারণ গাড়ি শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। সিয়াম জানিয়েছে, গত এপ্রিল-সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবে যাত্রী-গাড়ি বিক্রির হার কমেছে, প্রায় ১.৩৬%।
ইউটিলিটি ভেহিকেল ও ভ্যান ধরে সার্বিক ভাবে যাত্রী গাড়ি বিক্রির হারও আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কমবে বলে আশঙ্কা করছে সিয়াম। এপ্রিলের হিসাবে আগে তা ১৬-১৮% হলেও এখন সিয়াম মনে করছে তা ৪-৬ শতাংশের বেশি হবে না।
সিয়ামের নয়া প্রেসিডেন্ট এস শাণ্ডিল্য এ দিন অবশ্য গাড়ি শিল্পের মন্দা দশার জন্য সুদের হার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মারুতির কারখানার সাম্প্রতিক কর্মী অসন্তোষকেও দায়ী করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যেহেতু দেশে গাড়ি বাজারের ৫০ শতাংশই মারুতির দখলে, তাই সেই সংস্থার উৎপাদন ও বিক্রি ব্যাহত হলে সার্বিক ভাবে তা গাড়ি শিল্পের উপর প্রভাব ফেলবে।
যাত্রী গাড়ির বাজারে কিছুটা মন্দা এলেও অবশ্য বাণিজ্যিক গাড়ি এবং দু’চাকার গাড়ির বিক্রি কিছুটা বাড়বে বলে আশা করছে সিয়াম।
আর একটি আশার খবর শুনিয়েছেন সিয়াম-কর্তারা। তাঁরা জানান, জানুয়ারি-অগস্টের হিসেবে দেখা গিয়েছে, সার্বিক ভাবে জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি। এই হার প্রায় ১১.২০%। এর পরই রয়েছে ভারত। আমেরিকা, ব্রাজিল, চিন ও ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে দিয়ে ভারতে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৯.৯০%। |