নাটক-যাত্রা মিলিয়েই খুশি নাচন
বই বাড়ির পুজো। কিন্তু তাকে ঘিরে কোথাও বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর, কোথাও বা আবার পুজো চলে তিন দিন ধরে। দুর্গাপুর মহকুমা জুড়ে চালু রয়েছে বিভিন্ন রেওয়াজও।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের নাচন গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারে লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে ৭৫ বছর ধরে। পরিবারের সদস্যেরা জানান, পূর্বপুরুষ শিশির মুখোপাধ্যায় এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। তিনি যাত্রাপালা লিখতেন। তা অভিনীত হত দেবীর সামনে। এখনও পুজো উপলক্ষে যাত্রার আসর বসে। নাটক, কবিগানও হয়। এই পুজো ঘিরে মেতে ওঠে সারা গ্রাম। এলাকার বাসিন্দা বাণী ঘোষ জানান, পুজোর পাশাপাশি এই সব অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তাঁরা।
বুদবুদ থানার মানকর গ্রামের ভট্টাচার্য পরিবারে লক্ষ্মীপুজোর বয়স একশো বছরেরও বেশি। এখানে পুজো হয় তিন দিন ধরে। তবে শেষ দিন বৃহস্পতিবার পড়লে পুজোর আয়ু আরও এক দিন বাড়ে। ঘট বিসর্জন হয় দ্বিতীয় দিনে। প্রতিমা নিরঞ্জন তৃতীয় দিনে। শুরু থেকেই এই রীতি চলে আসছে বলে জানান বাড়ির সদস্যেরা। ডাকের সাজের একচালার প্রতিমা। দেবীর দু’পাশে দুই সখী। পুজোর প্রচলন হয়েছিল বুদবুদ থানার গোপালমাঠে। পরে পরিবারটি উঠে আসে মানকর রথতলায়। মানকরের অন্নপূর্ণা তলাতেও একটি শতাব্দী প্রাচীন পুজো রয়েছে। দুর্গাপুরের পাড়দই গ্রামে দু’টি পুজো হয়। আগে পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হতো। তবে এখন তা বন্ধ।
সোমবার দুর্গাপুর শহরের কুমোরপাড়া থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার ভিড় চোখে পড়েছে। ট্রাঙ্ক রোড, বেনাচিতি বাজারের বিভিন্ন অংশে, প্রান্তিকা মোড়, দুর্গাপুর বাজার, বাঁকুড়া মোড়, চণ্ডীদাস বাজার, মামরা বাজারে ছোট প্রতিমা রাস্তার পাশে সাজিয়ে বিক্রিও হচ্ছে। মূলত বাড়ির পুজের জন্য প্রতিমা কিনেছেন বাসিন্দারা। দেদার বিক্রি হয়েছে মাটির ভাঁড়, সরা, প্রদীপ, কলা গাছের ছাল-সহ পুজোর বিভিন্ন উপকরণও।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.