সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা খরচের ক্ষেত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে চিত্তরঞ্জনের একটি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। কারণ দর্শাতে বলে তাঁকে স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সালানপুরের বিডিও জয়দীপ দাস বলেন, “এর আগেও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছিল। তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল।”
চিত্তরঞ্জন শিক্ষাচক্রের স্কুল পরিদর্শক উত্তম মন্ডল জানান, পূর্ব সুন্দরপাহাড়ি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুমিতা দেবকে স্কুলের উন্নয়নের জন্য সর্বশিক্ষা অভিযানের তহবিল থেকে ৪৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রধান শিক্ষিকা তা খরচও করেছেন। কিন্তু খরচের পদ্ধতিতে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এর পরে স্কুল পরিদর্শক খরচের অডিট করান। তাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়ে বলে উত্তমবাবুর দাবি। তিনি বলেন, “এই অসঙ্গতির কারণ দর্শাতে বলে আমি প্রধান শিক্ষিকাকে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি তার উত্তরও দিয়েছেন। কিন্তু সেই উত্তরে আমি সন্তুষ্ট নই।”
উত্তমবাবু জানান, প্রতিটি স্কুলের জন্য যে গ্রাম শিক্ষা কমিটি থাকে, পদাধিকার বলে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাই তার সম্পাদক হন। সর্বশিক্ষা অভিযানের টাকা এলে তিনিই অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজের রূপরেখা তৈরি করেন। কিন্তু সুন্দরপাহাড়ি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুলে এ রকম কোনও কমিটি নেই। উত্তমবাবু বলেন, “আমরা প্রধান শিক্ষিকাকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে অন্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে খরচ করতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি বলে অভিযোগ এসেছে। খরচের হিসেবেও অসঙ্গতি রয়েছে।”
সুমিতাদেবী পাল্টা বলেন, “অনেকেই অনেক কিছু বলেন। তাতে কী আসে-যায়? আমি কোনও অনিয়ম করিনি।”
উত্তমবাবু জানান, বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি স্বপন ঘোষকে তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। কারণ দর্শানোর নোটিস এবং তার উত্তরও পাঠানো হচ্ছে। সোমবার স্বপনবাবু অবশ্য বলেন, “চিঠি পাইনি। তবে উত্তমবাবু পাঠাবেন বলে শুনেছি। সে ক্ষেত্রে তদন্ত হবে। অসঙ্গতি ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” সালানপুরের বিডিও বলেন, “ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আবার একই অভিযোগ উঠল। দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |