|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
মাছরাঙার গেরস্থালি |
মাদের ঘরের পাশে একটি পুরনো ঘরের কার্নিশে এক জোড়া মাছরাঙা বাসা বেঁধেছে। আমি তাদের নাম দিয়েছি রাঙা বউ, রাঙা বর। কিছু দিন পর তাদের বাসা থেকে কিচিরমিচির শব্দ শুনে আমি বুঝতে পারি তাদের বাচ্চা হয়েছে। দেখি দায়িত্বশীল মা-বাবার মতো তাদের মধ্যে এক জন সারাক্ষণ বাসা আগলায়, অন্য জন খাবার খুঁজে আনে। কিছু দিন পর দেখলাম খাবার নিয়ে গেলেই বাচ্চারা হাঁ করে। মা এক বার এ বাচ্চাকে খাওয়ায় আর এক বার ঠোঁটে করে পাশের বাচ্চাকে খাওয়ায়। এর থেকে বুঝতে পারি তাদের দু’টি বাচ্চা হয়েছে। সেই সময় রাঙা বর তাদের পাহারা দেয়। ওই পুরনো বাড়ির দেওয়ালের ফাটলে একটি অশত্থ গাছ মাথা তুলেছে। কিছুদিন পর রাঙা বউ তার বাচ্চা দুটোকে নিয়ে ওই অশত্থ গাছের ডালে এসে বসল। আমি পড়ার ঘরের জানলা দিয়ে তাদের এই ঘরগেরস্থালি দেখি এবং মজা পাই। সঞ্চারী কোলে।
ষষ্ঠ শ্রেণি, কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হাই স্কুল |
|
|
রঙিন মাছেরা |
২০১০ সালে আমি, বাবা আর মা পুজোয় বেড়াতে গিয়েছিলাম হায়দরাবাদ। আমরা থাকতাম আমরুথা ক্যাসেল-এ। ওখানে একটা খুব সুন্দর পাথরের ফোয়ারা ছিল। মাছের মুখ দিয়ে জল বেরোত। তার চার পাশে অনেক রঙের মাছেরা খেলা করত। ওরা পাথরের ছোট ছোট টানেলের ভিতর লুকোচুরি খেলত। একটা, দুটো মুড়ি দিলেই খেতে চলে আসছিল। আমি মাছেদের একটা মুভি তুলেছিলাম। তখন আমার হাত থেকে লেন্সের ঢাকনাটা জলে পড়ে গেল। মাছগুলো ভয়ে লুকিয়ে পড়ল। আমি হাত বাড়িয়ে ওটা তুলে নিলে ওরা আবার কাছে এল। একটু পরে আমি দুষ্টুমি দু’হাত জলে ডুবিয়ে ওদের ভয় দেখালে ওরা ভয়ে গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। আর কাছে আসেনি। শুভ্রনীল নন্দী। দ্বিতীয় শ্রেণি, এম সি কে ভি স্কুল, লিলুয়া |
|
|
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|