|
|
|
|
বারিকুলে গলা কেটে খুন চাষিকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারিকুল |
বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ঝোপের মধ্যে মিলল এক ব্যক্তির ধড়বিহীন মুন্ডু। বারিকুল থানার গোজদা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম রোহিত বিশুই (৪০)। শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিনপুর সীমানা লাগোয়া গোজদা গ্রামে তারাফেনি নদীর পাড়ের একটি ঝোপ থেকে রোহিতবাবুর মুন্ডু উদ্ধার হয়। ওই ঝোপ থেকেই পাওয়া যায় একটি রক্তমাখা কাটারি। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই নদী থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কী কারণে এই খুন, সে ব্যাপারে পুলিশ ধন্দে রয়েছে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “কে বা কারা ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ না অন্য কোনও কারণ আছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” পেশায় চাষি রোহিতবাবু তাঁদের দলীয় সমর্থক ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। দলের রাইপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামসুন্দর সিংহ মহাপাত্র বলেন, “রোহিত আমাদের সমর্থক ছিলেন। তবে কী কারণে তাঁকে এমন নৃশংস ভাবে খুন করা হল, তা আমরা বুঝতে পারছি না। এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলেই আমাদের ধারণা।”
স্থানীয় সূত্রের খবর, রোহিতবাবুর বিঘে চারেক জমি ছিল। বছর দশেক আগে স্ত্রী মারা গিয়েছে। পনেরো বছরের মেয়ে ও চোদ্দো বছরের ছেলে আছে বাড়িতে। মেয়ে অনিন্দিতা স্থানীয় মেলেড়া হাইস্কুলের নবম শ্রেণি ও ছেলে সৌমিক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। রোহিতবাবুর ভাই বিদেশ বিশুই বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দাদা বাড়ি ফেরেন। রাতের খাবার খেয়ে আমরা ঘরের ভিতরে শুয়েছিলাম। বারান্দায় দাদা শুয়েছিলেন। রাতে কেউ তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কি না, টের পাইনি। এ দিন সকালে দাদাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তারাফেনি নদীর পাড়ে ঝোপে একটা কাটা মুন্ডু পড়ে আছে বলে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি, সেটা দাদারই।” সৌমিকের কথায়, “রাতে বাবাকে কেউ ডেকেছিল না উনি নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তা বলতে পারব না।” তার আক্ষেপ, “মা আগেই মারা গিয়েছেন। এ বার বাবা খুন হলেন। আমরা অনাথ হয়ে গেলাম। দিদিকে নিয়ে কী ভাবে থাকব?” সৌমিকের দাবি, তার বাবা সিপিএম সমর্থক হলেও সে ভাবে রাজনীতি করতেন না। কে বা কারা তাঁকে এই ভাবে খুন করতে পারে, সে সম্পর্কে তাদের কোনও ধারণা নেই। |
|
|
|
|
|