|
|
|
|
বিদায় জাদুকর, নতুনের খোঁজে থাকা
চোখ আর পথ দেখাবে না অ্যাপলকে
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
|
তাঁর অবিবাহিত মা জন্মের পরেই তাঁকে তুলে দিয়েছিলেন এক দম্পতির হাতে।
সেই ছেলেই পড়া শেষ না করে ছেড়ে দিলেন কলেজ। তার পর যন্ত্রের জগতে ঝড় তুলে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিলেন দুনিয়ার সমস্ত বইপড়া বিদ্যেকে।
নিজের হাতে গড়লেন কোম্পানি। আবার সেখান থেকেই বিতাড়িত হলেন এক দিন! আরও এক দশক পরে ফিরে এলেন সেই সংস্থাকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে।
তত দিনে জানা হয়ে গিয়েছে সার সত্যটা। তাঁকে ছাড়া সংস্থার গতি নেই।
সেই সত্যটাকেই বারবার প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন তিনি, গত কয়েক বছর ধরেও, আইপড থেকে আইপ্যাড....। তাঁর হাত ধরেই নতুনের সন্ধানে এগিয়েছে অ্যাপল। তিনিই বদলে দিয়েছেন জীবন।
তিনি স্টিভন পল জোবস। গত পরশু, ৫ অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ার পালো অল্টোতে প্রয়াত হলেন অ্যাপলের প্রাণপুরুষ। বয়স হয়েছিল ৫৬।
অ্যাপলের সিইও পদ ছেড়েছিলেন মাস দেড়েক আগে। সঙ্গীদের লিখেছিলেন, “যে দিন বুঝব নিজের কাজটা আর করে উঠতে পারছি না, সে দিন নিজেই সরে যাব। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আজই সেই দিন।”
গত বুধবার ‘আইফোন ৪এস’-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের জৌলুসটাই উবে গিয়েছিল তাঁর অনুপস্থিতিতে। তাঁর হাজারো জাদু-যন্ত্রের গ্রাহক এবং ভক্তরা বলেছিলেন, “জাদুকরকে ছাড়া সবই কেমন ফিকে লাগছে।” তখনও তাঁরা জানতেন না, গোলগলা কালো টি-শার্ট আর নীল জিন্স পরা জাদুকর শুধু মঞ্চ ছেড়েই যাননি, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুনিয়া ছেড়েও চলে যাবেন। |
|
স্মরণ। ফ্রাঙ্কফুর্টে। ছবি: গেটি ইমেজেস। |
তিনিই স্টিভ জোবস। খাতায়-কলমে একটা কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও। অথচ তাঁকেই আজ শ্রদ্ধায় স্মরণ করছেন নানা দেশের প্রাক্তন ও বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে তাবড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্তারা। এবং তাঁর ভক্তরা। সিডনি থেকে সান ফ্রান্সিসকো একাকার। জোবস প্রয়াত হওয়ার পর থেকে অ্যাপল স্টোরগুলোর বাইরে জমছে ফুলের তোড়া, কাচের দেওয়ালে হাতে লেখা শোকবার্তা। অ্যাপলের সদর দফতরে অস্থায়ী স্মারকের সামনে সপরিবার জড়ো হচ্ছেন প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীরা। আর অ্যাপল-ভক্ত আমজনতা জোবসকে কুর্নিশ করছে তাঁরই জাদু-যন্ত্রগুলো দিয়ে। কেউ আইপ্যাডে মোমবাতির ছবি তুলে ধরছেন, কেউ আইফোন থেকে টুইট করছেন।
এঁদের চোখে জোবস কখনওই ‘শিল্পপতি’ নন। আবার, একের পর এক অবিশ্বাস্য যন্ত্র দুনিয়ার সামনে হাজির করা সত্ত্বেও ‘আবিষ্কর্তা’ নন। ‘জাদুকর’ শব্দটা দিয়েই যেন কিছুটা হলেও ধরা যায় তাঁকে। এক জাদুকর, যিনি ভবিষ্যৎ পড়তে পারতেন। যাঁর বিখ্যাত উক্তি, “গ্রাহককে তাঁর কী চাই জিজ্ঞেস করার পরে সেটা বানাতে বসলে চলবে না। তা হলে জিনিসটা তৈরি হতে-হতেই গ্রাহক নতুন কিছু চেয়ে বসবেন।” তাই জোবস এক বার করে আইপড, আইফোন, বা আইপ্যাড এনেছেন, আর দুনিয়া বলেছে, “আরে! এটাই তো চাইছিলাম!” অ্যাপলের প্রাণপুরুষ নিজেই হাতে করে এক-একটা নতুন যন্ত্র এনে এই বিশ্বাস প্রথম থেকেই জাগিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আছেন। তাঁর যন্ত্র হতাশ করবে না।
জাদু-যন্ত্র হতাশ করতও না। ধরা যাক আইপড। পছন্দের গান সঙ্গে নিয়ে ঘোরার কিছু বন্দোবস্ত ছিল ঠিকই, কিন্তু আইপড সব পুরনো ধারণা ভেঙে দিল। তাতে রাখা গেল কয়েকশো গান। দেখতে সুন্দর, ব্যবহার করা সোজা, বয়ে বেড়ানোও সহজ। গান শোনার ব্যাপারটাই ব্র্যান্ডের পর্যায়ে পৌঁছে গেল। তার পর আইফোন। পর্দায় আঙুলের চাপ বা কাঠির মতো ‘স্টাইলাস’-এর খোঁচা দিয়ে চালানোর মতো কিছু মোবাইল বাজারে ছিল। জোবসের আইফোন চলল আঙুলের আলতো ছোঁয়ায়। সেই প্রথম দেখা গেল, টাচস্ক্রিনে একাধিক আঙুল চালিয়েও আইফোন দিব্যি ব্যবহার করা যায়। ই-মেল করা, গান শোনা, ছবি তোলা যায়ই, ফোনটাও করা যায়! শেষে আইপ্যাড। ট্যাবলেট কম্পিউটার। মেল করা, গান শোনা, সিনেমা দেখা এমনকী পাতা উল্টে ‘অ্যানিমেটেড’ বই পড়তে হলেও এ যন্ত্রের জুড়ি নেই।
জোবসের জীবনের সবচেয়ে মজাদার মোড় হয়তো এইটাই। নিছক কম্পিউটার তৈরিতে আটকে না থেকে উঁচু দরের এবং যুগান্তকারী কয়েকটা যন্ত্রেরও নির্মাতা হয়ে ওঠা।
ঠিক যেন রূপকথা থেকে উঠে আসা এমন মানুষটা যদি আচমকা বিদায় নেন, তা হলে মনে তো হবেই, বড় অবিচার করলেন তিনি। রূপকথার এক উদাসী রাজকুমারের মতোই তাঁর জীবন। সিরিয়া-জাত আবদুলফাতা জান্দালি আর ইয়োহান শিয়েবেলের বিয়ের আগের সন্তান তিনি। জন্ম ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫। বড় হয়েছেন পালক বাবা-মার কাছে। স্টিভন নামটা তাঁদেরই পল এবং ক্লারা জোবসের দেওয়া। পালিত সন্তানের আসল মাকে যাঁরা কথা দিয়েছিলেন, ছেলেকে কলেজে পাঠাবেনই।
পোর্টল্যান্ডের রিড কলেজে ভর্তিও হয়েছিলেন স্টিভ। কিন্তু টেনেটুনে মাস ছয়েক নিজের সিলেবাস পড়ার পর সব ছেড়ে দিলেন। “বুঝতে পারতাম না, জীবনে যা করতে চাই, তাতে কলেজের এই পড়া আমাকে কী করে সাহায্য করবে।” ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বলেছিলেন জোবস। নিজের কোর্স ছেড়ে রিড কলেজেই ক্যালিগ্রাফি শিখেছিলেন তিনি। সেই বিদ্যেই কাজে লেগে গিয়েছিল প্রথম ‘ম্যাকিনটস’ কম্পিউটারের জন্য হরফ তৈরির সময়ে। সে অবশ্য আরও পরের গল্প।
পড়া ছেড়ে ‘আটারি’ নামে ভিডিও গেম তৈরির একটা কোম্পানিতে চাকরি। পাশাপাশি একটা কম্পিউটার ক্লাবের সভ্য হওয়া। চলছিল বেশ, ইতিমধ্যে জোবসের মনে জাগে আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা। ভারতে নিম করোলি বাবার আশ্রম ঘুরে দেশে ফিরলেন বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নিয়ে। মাথা কামানো, পরনে ভারতীয় পোশাক। এলএসডি-র স্বাদ নেওয়াও হয়ে গিয়েছে। কম্পিউটার ক্লাবটাতেই জোবসের সঙ্গে দেখা হয় হিউলেট প্যাকার্ডের কর্মী স্টিভ ওজনিয়াকের। কম্পিউটারে তুখোড় ওজনিয়াক চাকরির ফাঁকে একটা কম্পিউটার মাদারবোর্ড বানিয়েছিলেন। আর তৈরি করেছিলেন একটা মনিটর প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের দৌলতেই কী-বোর্ডে কোনও একটা অক্ষরের বোতাম টেপার পরে সেই অক্ষরটাকেই পর্দায় দেখা গেল। শুনতে সহজ, কিন্তু কম্পিউটারের দুনিয়ায় ব্যাপারটা সেই প্রথম বার ঘটছিল।
ওজনিয়াকের তৈরি কাঠামো সম্বল করেই জোবসের বাড়ির গ্যারাজে তৈরি হল কম্পিউটার কারখানা ‘অ্যাপল’। সেই অ্যাপলের প্রথম ‘সন্তান’ জন্মাল ১৯৭৬ সালে। তৈরি হল ‘অ্যাপল-১’ কম্পিউটার। তবে গ্রাহক-বন্ধু ‘পার্সোনাল কম্পিউটার’ বলতে যা বোঝায়, ‘অ্যাপল-১’ ঠিক তা ছিল না। কাজ করা ছিল বেশ কষ্টকর। বরং ব্যাপারটা অনেকটা সহজ হল ঠিক পরের বছর, ‘অ্যাপল-২’ তৈরি হওয়ার পরে। জোবসরা দেখলেন তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত হতে শুরু করেছে।
প্রথম বড় ঝড়টা এল প্রায় তখনই। জন্মেছিলেন অযাচিত সন্তান হয়ে, এ বার জোবস নিজেই জড়ালেন পিতৃত্ব-বিতর্কে। বান্ধবী ক্রিশ্চিয়ানের সন্তান লিজার পিতৃত্ব নিতে অস্বীকার করলেন তিনি। পরে অবশ্য মেনে নিয়েছিলেন লিজাকে। |
বিশ্বকে বদলে দিতে
পারবেন,
এমন ভাবার
সাহস ছিল এবং
ছিল তা
করে দেখানোর প্রতিভা।
বারাক ওবামা |
প্রজন্মের পর প্রজন্ম
স্টিভের
প্রভাব অনুভব
করবে। এমন
মানুষ
পৃথিবীতে
খুব কমই আসে।
বিল গেটস |
তুমি যা তৈরি করছো,
তা বিশ্বকে বদলে দিতে
পারে, এটা দেখানোর
জন্য ধন্যবাদ স্টিভ।
মার্ক জুকেরবার্গ
(ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা) |
টমাস
এডিসনের পরে
সব থেকে সেরা
আবিষ্কর্তা।
স্টিভেন স্পিলবার্গ |
|
|
|
প্রথম ‘অ্যাপল’।
প্রতিষ্ঠাতার হাতে। |
জোনাথন ম্যাক। হংকংয়ের ১৯ বছর
বয়সী
ছাত্রটি স্টিভ জোবসের ছায়া নিয়ে
এসেছেন
অ্যাপেলের লোগোয়। শুক্রবার এ ভাবেই
জোবসের
প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। ছবি: রয়টার্স। |
|
|
ইতিমধ্যে অ্যাপলও কলেবরে বাড়ছে। দুনিয়া ঢুঁড়ে জোবস নিয়ে আসছেন সেরা কলাকুশলীদের। এ ভাবেই ১৯৮৩-তে এক ঠান্ডা পানীয়র কোম্পানি থেকে বিপণন বিশেষজ্ঞ জন স্কুলে-কে অ্যাপলের সিইও করে নিয়ে এলেন জোবস। ঠিক পরের বছরই বাজারে এল ‘ম্যাকিনটস’ কম্পিউটার তখনও পর্যন্ত অ্যাপলের সেরা ও সব থেকে বাণিজ্যসফল সৃষ্টি। সব ঠিকই ছিল, গোলমাল বাধল ১৯৮৪-র শেষে। বাজারে মন্দা দেখা দিল। স্কুলের সঙ্গে বিরোধ বাধল জোবসের। ১৯৮৫-তে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ স্কুলের পক্ষ নিয়ে জোবসকেই বার করে দিল তাঁর হাতে গড়া কোম্পানি থেকে!
বেশ চর্চা হয়েছিল খবরটা নিয়ে। বিপর্যস্ত জোবস সিলিকন ভ্যালি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। শেষ পর্যন্ত কিন্তু পালাননি। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই বক্তৃতায় জোবস বলেছিলেন, “আমার জীবনে সব চেয়ে ভাল যদি কিছু হতে পারত, তা হলে সেটা হল অ্যাপল থেকে ছাঁটাই হওয়া। হালকা মনে আবার সব গোড়া থেকে শুরু করা। ওই সময়টাই হয়ে উঠেছিল আমার জীবনের সব চেয়ে সৃষ্টিশীল সময়।” জোবস নিজের সংস্থা গড়লেন ‘নেক্সট’। কিনে ফেললেন একটা অ্যানিমেশন স্টুডিও, পরে যার নাম হল ‘পিক্সার’। এই পিক্সার থেকেই একটা সময়ে বেরিয়েছে ‘টয় স্টোরি’, ‘মনস্টারস’-এর মতো দুর্দান্ত সব অ্যানিমেশন ছবি।
ঠিক এক দশক লাগল চাকা ঘুরতে। ‘নেক্সট’কে কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিল অ্যাপল। ১৯৯৬-এ ‘নেক্সট’ অ্যাপলে মিশে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সিইও হয়ে ‘ঘরে’ ফিরলেন জোবস। তখন থেকে অ্যাপলের প্রতিটা দিক যন্ত্রের নকশা, নির্মাণ, প্যাকেজিং এমনকী রাঁধুনি খোঁজার ব্যাপারেও কড়া নজর রাখলেন তিনি। যে সব প্রকল্প অলাভজনক মনে করলেন, সেগুলো বাতিল করে দিলেন। একঘেয়ে হয়ে ওঠা ক্রিমরঙা কম্পিউটারকে বিদায় দিয়ে বানাতে লাগলেন ফ্যাশন-দুরস্ত রঙবেরঙের মেশিন ‘আইম্যাক জি৩’। অ্যাপলকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০০১-এ এল আইপড, ২০০৩-এ ‘আইটিউনস মিউজিক স্টোর’। ইন্টারনেটে গান বিক্রি করেও যে ব্যবসা করা যায়, দেখিয়ে দিল আইটিউনস।
২০০৭ আর ২০১০ যথাক্রমে আইফোন আর আইপ্যাডের আত্মপ্রকাশের বছর। তত দিনে যন্ত্রপাগলদের মজ্জায় ঢুকে গিয়েছে জোবস-জাদু। নতুন যন্ত্র নিয়ে জোবস মঞ্চে ওঠা মাত্রই যাঁরা বিশ্বাস করেছেন, এ বার নিশ্চয়ই আগের চেয়েও বেশি কাজের কোনও জিনিস পাওয়া যাবে। নতুন পণ্যের নাম ঘোষণার আগে পর্যন্ত চূড়ান্ত নাটক, বাজার ধরার পরিকল্পনা, জোবসের ট্রেডমার্ক পোশাক সব কিছু মিশেই তৈরি করে দিয়েছে এক জাদু-বাস্তবতা! তাই নতুন যন্ত্র বাজারে আসার আগের রাত থেকেই লাইন পড়েছে অ্যাপল স্টোরের বাইরে। দামের চিন্তা নেই। জোবস তো আছেন!
সারা দুনিয়াকে এমন প্রাণশক্তি জোগানো মানুষটার শরীরেই কি না বাসা বেধেছিল কর্কটরোগ! যকৃৎ প্রতিস্থাপন করিয়ে নীরবে লড়ে যাচ্ছিলেন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের সঙ্গে। বার তিনেক ছুটি নেওয়া ছাড়া রুটিন কাজের কোনও বদল ঘটাননি। শুধু যখন শরীর আর সায় দিল না, ২০১১-র ২৪ অগস্ট সিইও পদটা ছেড়ে দিলেন। তার পর থেকে যতটা পারছিলেন, সময় কাটাচ্ছিলেন পরিবারের সঙ্গে। স্ত্রী লরেন ও তাঁর এক ছেলে, দুই মেয়ে। জোবসের বোন মোনা সিম্পসন বলছিলেন, “ও যে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই ভয়ঙ্কর কথাটা ভেবেই ওর গলাটা কী রকম হয়ে যেত।”
অ্যাপলের জন্যও কি ভাবনা হত তাঁর? নতুন সিইও টিমোথি কুকের আমলেও তাঁর সাধের কোম্পানির সোনালি দৌড় জারি থাকবে কি না, সে কথা কি ভাবতেন তিনি?
হয়তো ভাবতেন। নিশ্চয়ই ভাবতেন জাদুকর। রূপকথার আকাশে এখন যাঁর খোঁজে হন্যে কিছু যন্ত্রপাগল! |
|
|
|
|
|